নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেটের দারুন জয় নিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানদের দেওয়া ২৪৭ রানের টার্গেটকে তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
স্কোর : বাংলাদেশ : ২৪৮/৫ (৪৭.২ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন আলী। তাদের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথটা অনেকটাই সহজ করে ফেলে বাংলাদেশ। এ দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর পিচে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাব্বির। তারা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
নার্সের জোড়া আঘাতে সাকিব-সৌম্যের উইকেট পতন
তামিম ইকবাল ফিরে যাওয়ার পড়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সৌম্য সরকার। তাদের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে ২১তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১০৬ রানে আউট হন সাকিব। ফেরার আগে ৩৫ বলে ২৯ রান করে যান তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে পিসে বোলারদের শাসন করা সৌম্যকেও ফেরালেন তিনি। ৬৭ বলে ৫৪ রান করে যান সৌম্য।
হাফসেঞ্চুরি করতে সৌম্যের প্রয়োজন হয়েছে ৫৯ বলের। এর মধ্যে ৪টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে টাইগাররা।
ফিরে গেলেন তামিম
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সৌম্য সরকারকে নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৪ রান।
তবে ৮.৪তম ওভারে অ্যাশেয় নার্সের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২৩ বলে ৪টি চারের মারে ২১ রান করে যান তিনি। উইকেটে আছেন সৌম্য এবং সাকিব আল হাসান।
মুস্তাফিজ-মাশরাফির তোপে মাঝারি রানেই থামল উইন্ডিজ
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহামান এবং অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
সোমবার (১৩ মে) টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ক্যারিবীয়রা। পরে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে দলটি।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি উইন্ডিজ। দলীয় ৩৭ রানেই অভিষিক্ত আবু জায়েদ রাহীর তোপের মুখে মাঠ ছাড়েন সুনীল অ্যামব্রিজ। ফেরার আগে ১৯ বলে ২৩ রান করে যান তিনি।
উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি ড্যারেন ব্রাভো। স্কোরবোর্ডে ১৯ রান যোগ হতেই মেহেদী মিরাজের ঘূর্ণিতে মাঠ ছাড়েন তিনি। চারে নেমে ওপেনার শাই হোপকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন রোস্টন চেজ। তবে ১৯.১তম ওভারে ২৯ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ৯৯ রানে জোনাথান কার্টারকেও ফেরান মুস্তাফিজ।
পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে ১০০ রানের জুটি গড়েন এক প্রান্ত আগলে রাখা হোপ। তাদের এই জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে ক্যারিবীয়রা।
৪১.৬তম ওভারে হোপ ১০৮ বলে ৮৭ রান করে আউট হন হোপ। তার উইকেটটি তুলে নেন মাশরাফি। দুই ওভার বাদে বোলিংয়ে এসে ৭৬ বলে ৬২ রান করা হোল্ডারকেও ফিরিয়ে দেন টাইগার কাপ্তান।
পরবর্তীতে উইকেটে এসে সুবিধা করতে পারেননি কেউই। টাইগারদের কার্পণ্য বোলিংয়ে পরবর্তীতে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, অ্যাশেয় নার্স এবং রেইমন রেইফার ফিরে যান স্বল্প রানেই। এদের মধ্যে ফ্যাবিয়ানকে সাকিব এবং নার্স ও রেইমনকে ফেরান মুস্তাফিজ।