নিজস্ব প্রতিবেদক: জাহানারা বেগম (৬৫)। বার্ধক্যের সঙ্গে মানসিক সমস্যাও আছে। ৬ মাস আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি। সম্ভাব্য সব জায়গায় সন্ধান করেও জাহানারা বেগমকে পায়নি সন্তানেরা।
কিন্তু, “ছেলেধরা” নামক যে আতঙ্ক দেশবাসীকে পিষে মারছে, সেটিই রংপুরের একটি পরিবারের জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে।
সোমবার দুপুরে জাহানারা বেগমকে সন্তানেরা ফিরে পেয়েছেন। তাদের পরিবারে উৎসব নেমে এসেছে।
এই “ছেলেধরা” সন্দেহে সোমবার দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের ফকিরগঞ্জে জাহানারা বেগমকে আটক করা হয়। সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে একদল মারধরও করে। এরই মধ্যে আরেকদল ভিড় ঠেলে উদ্ধার করে জাহানারাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশে খবরও দেয়া হয়।
হাসপাতালেই এক পর্যায়ে তার পরিচয় বেরিয়ে আসে। জাহানারা রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার দক্ষিণ অনন্তরাম দশগাঁও ধাপেরকুড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী। তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার।
পরে রংপুর থেকে ভাতিজা সাবেদুল ইসলাম এলে, তার কাছে পুলিশ জাহানারাকে হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানার এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুরে কুন্দপুকুর ইউনিয়নের ফকিরগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে জাহানারাকে আটক করে রাখে একদল অতি উৎসাহী। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জাহানারা সঠিক তথ্য দিতে না পারলেও যেটুকু জানান, তাতেই পরিবারের ঠিকানা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাহানারা বেগম ৬ মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
পরে ভাতিজা সাবেদুল ইসলামের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এসআই নাজমুল।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, সময় মতো পুলিশ তৎপর হয়েছিল বলেই জাহানারাকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
নাগরিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান, কোথাও কারও প্রতি এমন সন্দেহ তৈরি হলে, পুলিশকে জানাতে হবে। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না।