নিজস্ব প্রতিবেদক: রবিবার (৪ আগস্ট) রাতে রাজ্যটির দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। একইসাথে, অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা হয়েছে কারফিউ
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কয়েকদফা বৈঠক আর অন্যদিকে পাকিস্তানের হুঁশিয়ারির মধ্যে ঘোলাটে হয়ে উঠছে কাশ্মীর পরিস্থিতি।
রবিবার(৪ আগস্ট) রাতে রাজ্যটির দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। একইসাথে, অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা হয়েছে কারফিউ। খবর আনন্দ বাজারের।
রবিবার সন্ধ্যায় একটি সূত্রে জানা যায়, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেকথা স্বীকার করেনি সরকার। তবে সূত্রের খবর, শোপিয়ানের মতো স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে থানা পাহারা দিচ্ছে বিএসএফ। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। ফিরিয়ে আনা হয়েছে ক্রিকেটারদেরও। একইসাথে, পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদেরকেও ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রবিবার কাশ্মীরের মূলস্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা মেহবুবার বাড়িতে এক সর্বদল বৈঠক করেন। কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা খর্ব করার চেষ্টা হলে একযোগে তার প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তার পরপরই তাদের কাউকে গ্রেফতার, কাউকে গৃহবন্দি করা হয়। মেহবুবা-ওমর দু’জনেই টুইট করে নিজেদের গৃহবন্দিত্বের কথা জানান।
এদিকে, এরইমধ্যে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নিয়ন্ত্রণরেখায় কেরন সেক্টরে ৩১ জুলাই রাতে পাক সেনার ব্যাট বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছিল ভারত। সেই হামলায় নিহত পাঁচ পাকিস্তানি সেনাসদস্যের মরদেহ পাকিস্তানকে নিয়ে যেতে বলেছে ভারত। তবে, ওই হামলার কথা অস্বীকার করে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ইমরান খান।
টুইটারে ইমরান খান লেখেন, “নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের হামলার নিন্দা করছি। এটা মানবাধিকার আইন ও ১৯৮৩ সালের প্রথাগত অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে চুক্তির পরিপন্থী। এনিয়ে জাতিসংঘের সতর্ক হওয়া উচিত। ভারত কোনও ভুল পদক্ষেপ নিলে পাকিস্তানও জবাব দেবে।"
তিনি লেখেন, “কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হলে তবেই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখা সম্ভব। এখনই মধ্যস্থতা করার সময়।”