শেয়ারনিউজ ডেস্ক: খুনি, গ্যাংস্টারের সঙ্গে পুলিশের প্রেম! সিনেমার পর্দায় এ দৃশ্য অপরিচিত নয় মোটেই। তাই বলে বাস্তবেও! সম্প্রতি এমনই এক প্রেমের কাহিনী ঘুরে ফিরছে পশ্চিমবঙ্গের নয়ডার মানুষের মুখে মুখে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দিকে আদালতে নিয়ে আসার সময় তাকে দেখেই নাকি প্রেমে পড়ে যান কর্তব্যরত এক তরুণী পুলিশকর্মী। সম্প্রতি দু’জনে বিয়েও করেছেন।
তাদের প্রেমের কাহিনির শুরুটাও হুবহু সিনেমার দৃশ্য। সালটা ছিল ২০১৪। মনমোহন গয়াল নামে এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয় রাহুল থাস্রানা নামে ওই গ্যাংস্টার। রাহুলের বয়স তখন ৩০ বছর। হাতকড়া পরানো অবস্থায় তাকে সুরজপুর আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। রাহুলের বিরুদ্ধে শুধু ওই একটা নয়, একাধিক খুনের অভিযোগ ছিল। সঙ্গে ডাকাতি, অপহরণের মতো একাধিক অপরাধের মামলাও চলছে তার বিরুদ্ধে। এমন এক গ্যাংস্টার বলে কথা, তাই আদালতের চারপাশে তখন কড়া পুলিশি প্রহরা।
প্রহরায় ছিলেন পায়েল নামে গৌতমবুদ্ধ নগর থানার এক মহিলা পুলিশও। প্রথম দিন দেখেই গ্যাংস্টারের প্রেমে পড়ে যান তিনি। সে দিন অবশ্য দু’জনের মধ্যে কোনও কথা হয়নি। তবে একাধিক অপরাধের সুবাদে প্রায়শই জেলে যাতায়াত লেগে থাকত রাহুলের। আর এই দেখাসাক্ষাৎ হতে হতেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি তাঁরা বিয়েও করেছেন।
সেই বিয়ের ছবিই রাহুল শেয়ার করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে তাদের বর-কনের সাজে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে রাহুল বর্তমানে জামিনে মুক্ত থাকলেও এই মুহূর্তে পায়েলের কোনও খোঁজ নেই। তারা কোথায় আছেন তাও জানা যায়নি। পায়েল অন্য কোনও থানায় কর্তব্যরত কি না তা-ও অজানা, জানিয়েছেন গৌতমবুদ্ধ নগর থানার পুলিশ অফিসাররা। তাদের দু’জনের বিয়ের ছবি দেখে রীতিমতো তাজ্জব পায়েলের একসময়ের সহকর্মীরা। ভিতরে ভিতরে যে তাদের দু’জনের সম্পর্ক এতদূর গড়িয়েছিল, তা ঘূণাক্ষরেও টের পাননি তারা।
গ্যাংস্টার রাহুলের অপরাধ জগতে প্রবেশ ২০০৮ সালে। ২০১৭ সালে বেআইনি আগেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে শেষবারের মতো তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে এতদিন তার আর কোনও খোঁজ ছিল না। সূত্র- আনন্দবাজার।