নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহের তুলনায় আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে আছে। আমাদের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর আন্তরিকতায় স্বাস্থ্যসেবার প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও দেশীয় চিকিৎসকদের উপর আস্থাশীল। তিনি নিজেও অনেকবার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আমরা কিছুদিন পূর্বেই ১৫’শ ডাক্তারকে প্রমোশন দিয়েছি এবং আগামী অল্পদিনের মধ্যেই আরও ১৫’শ ডাক্তারকে প্রমোশন দেয়া হবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রনালয়ে আমাদের টিম কাজ করছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা চাই আপনারা প্রমোশন পান, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পান, এটা সরকার দিচ্ছে এবং আগামীতে আরও দেয়া হবে। তবে আপনাদের কাছে আমাদের দাবি হলো, আপনারা মানুষকে ভালো সেবা দিন। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে মানুষকে চিকিৎসা দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আপনাদের থেকে এটা আশা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যখাত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। আমরা শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছি, মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়েছি, আমাদের গড় আয়ু এখন প্রায় ৭৩ বছর। সবমিলিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যখাত আশেপাশের বিভিন্ন দেশের তুলনায় এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ঈদে চিকিৎসকদের ছুটি থাকে না। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দকে ফেলে রেখে তারা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও কিছুদির পূর্বেই ডেঙ্গু প্রকোপে চিকিৎসকরা জীবন বাজি রেখে চিকিৎসা দিয়েছেন। হাসপাতালে যতো রোগী এসেছে, কাউকেই ফেরৎ দেয়া হয়নি, সবাইকে চিকিৎসা দিয়েছেন। চিকিৎসকদের এই অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কথা উল্ল্যেখ করে তিনি বলেন, মানুষ যেসব প্রতিষ্ঠান সমূহে ভাল সেবা পায়, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট তার মধ্যে অন্যতম। আপনারা বলেছেন, জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটে ১৬শ’ চিকিৎসকের মধ্যে ১২শ’ চিকিৎসক রয়েছেন। অর্থ্যাৎ এখানে ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, আমরা অতি শীঘ্রই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (নার্সিং ও মিডওয়াইফারি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, ওএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ প্রমূখ।