নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ৩৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার লক ফ্রি (বিক্রয়যোগ্য) হচ্ছে আগামী ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও)সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করা হয়।এর মধ্যে যোগ্যবিনিয়োগকারীরা ৫০ শতাংশ বা ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার পেয়েছ।যার ২৫ শতাংশ বা ৩৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার আগামী ১৩ ডিসেম্বর লক ফ্রি হবে।
পাবলিক ইস্যু রুলস অনুসারে, উদ্যোক্তা বা পরিচালক ও ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারনকারীদের জন্য ৩ বছর লক-ইন প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা বা পরিচালক ও ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারনকারীদের হস্তান্তরকৃত শেয়ারে লক-ইন থাকবে ৩ বছর, আইপিও অনুমোদনের ৪ বছর আগে ইস্যুকৃত শেয়ারে ১ বছর, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে ১ বছর ও বাকি অন্যসব শেয়ারে ২ বছর লক-ইন রাখতে হবে।আইপিওতে প্রাপ্ত যোগ্যবিনিয়োগকারীদের মোট শেয়ারের ৫০শতাংশ লক-ইন থাকে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ শেয়ারে ৬ মাস এবং বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ার ৯ মাস লক-ইন থাকে।যা কোম্পানির লেনদেনের প্রথম দিন থেকে হিসাবযোগ্য।
সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালসের যোগ্যবিনিয়োগকারীদের লক-ইন থাকা ৫০ শতাংশের মধ্যে বাকি ২৫ শতাংশ বা ৩৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ২০২০ সালের ১৩ মার্চ বিক্রয়যোগ্য হবে।
ডিএসইতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালসের অনুমোদিত মূলধন ১০৫ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ১০৯ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার টি।
এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৭১ শতাংশ, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছে শূণ্য দশমিক ০৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৩ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয়ে বর্তমানে “এন” ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।