নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে আসার অপেক্ষায় থাকা টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১২ লাখ ৮০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য রবির শেয়ার বরাদ্ধ আছে ২৩ কোটি ২০ লাখ। কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নিতে পারবে ২৩২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ৬৪০ কোটি টাকার আবেদন পেয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মিলে আইপিওতে ২ হাজার ২২৭ কোটি টাকার আবেদন করেছে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৫৮৭ কোটি টাকার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর ৬৪০ কোটি টাকার আবেদন করেছে।
গত ১৭ নভেম্বর কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪১তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে রবি। যা হবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু।
বিনিয়োগকারীদের জন্য রবির ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করা হবে। বাকি ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য।
প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার হয়েছে ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ৪ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালে রবির ইপিএস হয়েছিল ০.৪৬ টাকা। তবে ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা ও ২০১৬ সালে ১.৮৮ টাকা লোকসান হয়েছিল।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।