নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ৩ জনে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৩৬ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৩২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে করোনামুক্ত হলেন মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৯ জন।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাবে। তবে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু হওয়ায় মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরছে। অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে রপ্তানির এ খারাপ পরিস্থিতি আগামী মার্চ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। সব মিলিয়ে এ বছরের দ্বিতীয় ভাগের আগে (জুন পর্যন্ত) খুব অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আশার কথা হলো, প্রধান রপ্তানি গন্তব্যের দেশগুলোতে টিকার প্রয়োগ শুরু হওয়ায় মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে।
বাংলাদেশের পোশাকের প্রধান গন্তব্য ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। এর বাইরে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপানও পোশাক বড় বাজার। রপ্তানিকৃত পোশাকের ৮০ শতাংশের ওপরে যায় এসব দেশে। এর মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ শুরু হওয়ায় রপ্তানি আদেশেও প্রত্যাশিত গতি নেই বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা অ্যাপারেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে শামীম এহসান বলেন, অতীতে বছরের এ সময়ে যে ক্রয়াদেশ থাকার কথা, এখন তা নেই। অন্যদিকে ওভেন পোশাক রপ্তানিকারকদের অবস্থা অপেক্ষাকৃত বেশি খারাপ।
ইপিবির হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে সব মিলিয়ে পোশাক রপ্তানি কমেছে আগের বছরের চেয়ে ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর মধ্যে করোনার শুরুর দিকে লকডাউনের কারণে রপ্তানি ব্যাহত হয়েছে ব্যাপকভাবে। গত মার্চে পোশাক রপ্তানি কমেছিল ২০ শতাংশ, এপ্রিলে ৮৫ শতাংশ আর মে মাসে ৬২ শতাংশ। জুনে তা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসে (৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ)। জুলাইয়ে প্রায় দুই শতাংশ কমার পর আগস্ট ও সেপ্টম্বরে আড়াই ও তিন শতাংশ বেড়েছিল। তবে এর পরের মাসগুলোতে আবার কমতে শুরু করে। সর্বশেষ তিন মাস অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পোশাক রপ্তানি কমেছিল পৌনে আট শতাংশ, দুই দশমিক ৬৬ শতাংশ ও পৌনে ১০ শতাংশ।