ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত সবাই। কিন্তু লোকসানের পাল্লাটা কাঁধে নিয়ে গলায় দড়ি দিতে হয় রনি জামান, যুবরাজ, দিলদার, স্বপনের মত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারনিউজ২৪ ডটকমকে বলেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশীদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা এখন তিন দিনের গেইমে ব্যস্ত। আইপিওতে কোন কোম্পানি বাজারে আসলে আমরা তার অতিত বর্তমান ভবিষৎ চিন্তা না করেই বিনিয়োগ করি। আমরা মনে করি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুঝি যাচাই করে কোম্পানিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।
কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই কোম্পানির বাস্তব চিত্র আমাদের সামনে ফুটে উঠে। এরই মধ্যে আমরা সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্স, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, হামিদ ফেব্রিকস, শেফার্ড, ওয়েস্টার্ন মেরিনের মত অনেক কোম্পানি দেখেছি। যারা তালিকাভুক্তির আগে আকাশসম মুনাফা দেখালেও তালিকাভুক্তির পর হাওয়াবিহীন বেলুনে পরিনিত হয়।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা মনে করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মনে হয় কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করে, কাগজ পত্র যাচাই করে কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তারা এসি রুম থেকে বের হয়ে এসি গাড়ি করে বাড়ি যাওয়ার বাহিরে বিনিয়োগকারীদের জন্য বাড়তি কোন কাজ করছে না। যদি তারা তাই করত তবে বিবিএস ক্যাবলস কিভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাজারে আসে। কিংবা প্যাসিফিক ডেনিমস কি ভাবে ঋণের তথ্য লুকিয়ে রাখে। আমরা নেটওয়্যাকের মত কোম্পানি কি করে ৩৫-৩৯ টাকায় আইপিওতে আসে। পুরটাই কারসাজি।
মিজান-উর রশীদ বলেন, বিনিয়োগকারীদের উচিত -তথ্য যাচাই করে বিনিয়োগ করা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা অন্য কারো উপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করা উচিত নয়।
আইপিওতে আসার পর বাজারে তিন দিনের গেইম শুরু হয়। প্রথম বিডিংয়েই কারসাজি চক্রের দাপটে শেয়ার দাম বাড়ে ২০০ শতাংশ। তার পর চাহিদা কম থাকলে তারাই এ শেয়ার দাম ৩০০ শতাংশ বাড়ায়। কিন্তু প্রথম দিনে ৩০০ শতাংশ বাড়লেও পরবর্তীতে কমতে থাকে। বিগত ৫ বছরে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এমন অনেক কোম্পানি আছে, যাদের শেয়ার দর এখন প্রথম দিনের অবস্থানে পৌছায় নি।
তাই তিন দিনের গেইম থেকে বের হয়ে আসুন। আপনে যদি বিনিয়োগ না করেন, তাহলে টাকা আপনার পোটফলিওতেই থাকবে। অন্য কেউ নিয়ে যাবে না। কিন্তু যদি সিদ্ধানে ভুল করেন তবে তার দায় আপনাকেই নিতে হবে।