নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলাকারী এক নেতা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। ওই নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করার অভিযোগও রয়েছে।
গত শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বরগুনার তালতলীতে পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রাজ্জাক হাভালদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয় পর্যায়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনু এই বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার নৌকার কাণ্ডারি হওয়ায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তিনি ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারকালে ছোটবগী বাজার এলাকায় পায়রা নদীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিডবোটে হামলা করেছিলেন। ওই সময় আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার জাতীয় পার্টির প্রার্থী মতিউর রহমান তালুকদারের সমর্থক ছিলেন।
তিনি বলেন, এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের বিরুদ্ধে ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় পড়াশোনার সময় ছাত্রশিবিরের সূত্রাপুর থানার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের গুঞ্জন রয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিডবোটে হামলার সময় আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। এছাড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ কেউ আমাকে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলছেন। এটা অসত্য।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, রশিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।