নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ৩৩টি ব্যাংকের মধ্যে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি-মার্চ’২২) প্রকাশ করেছে ৩২টি ব্যাংক। এরমধ্যে মুনাফা বেড়েছে ২৪টি ব্যাংকের। আর মুনাফা কমেছে ৮টি ব্যাংকের। আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি রূপালী ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়া ২৪টি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক এবং ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড।
এক্সিম ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ০৫ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২০ পয়সা বা ৪০০ শতাংশ।
আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ২৬ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৩ পয়সা বা৮৮ শতাংশ।
এনআরবিসি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৪২ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৪৭ পয়সা বা ১১১ শতাংশ।
সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১১ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১১ পয়সা বা ১০০ শতাংশ।
ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৩১ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৫ পয়সা বা ৮০ শতাংশ।
শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৬২ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩৬ পয়সা বা ৫৮ শতাংশ।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) ইপিএস হয়েছে ৮৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৬১ পয়সা (রিয়েস্টেটেড)। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৫ পয়সা বা ৪১ শতাংশ।
ট্রাস্ট ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৯২ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৭ পয়সা বা ২৯.৩৪ শতাংশ।
ইউনিয়ন ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ২৮ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৭ পয়সা বা ২৫ শতাংশ।
পূবালী ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৯৮ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২১ পয়সা বা ২১.২৪ শতাংশ।
এবি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১৫ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩ পয়সা বা ২০ শতাংশ।
ডাচ বাংলা ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩৪ পয়সা বা ১৯.২০ শতাংশ।
প্রিমিয়ার ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৫৬ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০৯ পয়সা বা ১৬ শতাংশ।
ইসলামি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৪৫ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৭ পয়সা বা ১৫.৫৫ শতাংশ।
ইস্টার্ণ ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ০৯ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১৬ পয়সা বা ১৪.৬৭ শতাংশ।
এনসিসি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৫২ পয়সা আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৭ পয়সা বা ১৩.৪৬ শতাংশ।
আইসিবি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিলো ১৫ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির নেগেটিভ ইপিএস কমেছে ২ পয়সা বা ১৩.৩৩ শতাংশ।
ঢাকা ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৬৬ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০৭ পয়সা বা ১০.৬০ শতাংশ।
উত্তারা ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৭৫ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০৬ পয়সা বা ৮ শতাংশ।
সাউথইস্ট ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৯ পয়সা বা ৭.৩৭ শতাংশ।
যমুনা ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১২ পয়সা বা ৭.৫০ শতাংশ।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৭৪ পয়সা । আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৪ পয়সা বা ৫.৪০ শতাংশ।
ব্যাংক এশিয়া: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ০৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ০৫ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১ পয়সা বা ০.৯৫ শতাংশ।