নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩০ বছরের বেশি সময় পর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পেলেন দেশটির শ্রমমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নি। ৬১ বছর বয়সী এই নারী রাজনীতিক বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্সের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এলিজাবেথ বর্নিকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন।
সোমবার এক বিবৃতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি দপ্তর এলিসি প্যালেস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এলিজাবেথ বর্নির নিয়োগের বিষয়টি জানায়।
এর আগে সামাজিক সংস্কারে নেয়া দেশটির প্রেসিডেন্টের ঘোষিত প্যাকেজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফ্রান্সে। সেই সময় একজন দক্ষ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যান এলিজাবেথ বর্নি।
বর্নির কার্যকর পদক্ষেপ আন্দোলন প্রশমনে মাখোঁ সরকারকে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
এর আগে দেশটিতে সবশেষ নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেন ইডিথ ক্রেসন। তিনি ১৯৯১ সালের মে মাস থেকে ১৯৯২-এর এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চলতি বছর এপ্রিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাখোঁর দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ের পর সরকারে ব্যাপক রদবদল আনার আভাস দিয়েছিলেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে এমন পরিবর্তন আনলেন মাখোঁ।
আগামী জুনে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার লড়াইয়ে মধ্যপন্থী মাখোঁদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বাম ও ডানপন্থীদের জোট।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একজন বামপন্থী নেতা এবং যার পরিবেশ বিষয়ে পর্যাপ্ত দখল রয়েছে তাকেই প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্য মনে করেছেন মাখোঁ।
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সামাজিক সংস্কার এবং নারীদের অগ্রগতির জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডিমানসেকে দেয়া বক্তব্যে ইডিথ ক্রেসন বলেন, ফ্রান্সের রাজনীতি এখনও পুরুষতান্ত্রিক হয়ে আছে। ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হলে নতুন নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীকে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’