নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বোচ্চ লেনদেনের ৩০ কোম্পানির মধ্যে ২৭টির বা ৯০ শতাংশ কোম্পানিরই দরপতন হয়েছে। বিপরীতে মাত্র ৩টি কোম্পানির বা ১০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। যে ৩টি কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত ইপিএসে পতন হয়েছে। তারপরও আজ কোম্পানি ৩টি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের আশার আলো দেখিয়েছে।
কোম্পানি ৩টি হলো- বঙ্গজ, বিডি থাই ফুড এবং জেমিনি সী ফুড লিমিটেড।
আজ বঙ্গজ লিমিটেডের ১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি আজ ডিএসইর লেনদেন তালিকার অষ্টম স্থানে ওঠে এসেছে। আগেরদিন মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪৭ টাকা ১০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫৯ টাকা ১২ পয়সায়। এই হিসেবে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা বা ৮.২৩ শতাংশ।
ডিএসইতে আজ কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ০৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ০৮ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ২ পয়সা বা ২৫ শতাংশ। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটির শেয়ার দরে ছিল আশার আলো। আজ কোম্পানিটি ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে স্থান করে নিয়েছে।
এদিকে, আজ ডিএসইতে বিডি থাই ফুডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার। যার মাধ্যমে কোম্পানিটি আজ লেনদেন তালিকার ২০তম স্থানে ওঠে এসেছে। আগেরদিন মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৭ টাকা ১০ পয়সায়। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৯ টাকা ১০ পয়সায়। দর বেড়েছে ২ টাকা বা ৫.৩৯ শতাংশ।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৬ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ২ পয়সা বা ১২.৫০ শতাংশ। তারপরও আজ বড় পতনের দিনে শেয়ারটির দর বৃ্দ্ধি নিয়ে ডিএসইর দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
অপরদিকে, আজ ডিএসইতে জেমিনি সী ফুডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার। যার মাধ্যমে কোম্পানিটি আজ লেনদেন তালিকার ২৮তম স্থানে ওঠে এসেছে। আগেরদিন মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩২৬ টাকা ৩০ পয়সায। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৩০ টাকা ৯০ পয়সায়। দর বেড়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ১.৪১ শতাংশ।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা বা ৯৭.৬৩ শতাংশ। ইপিএসে ধস নামার পরও আজ বড় পতনের দিনে কোম্পানিটি ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় ১৫তম স্থানে উঠে এসেছে।