ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২, ২১ আষাঢ় ১৪২৯
RSS RSS
  • পুঁজিবাজার বিষয়ক দেশের সর্বপ্রথম অনলাইন নিউজপোর্টাল
সর্বশেষ সংবাদ
ডিএসইর শীর্ষ লেনদেন তালিকায় থেকেও ক্রেতাশূন্য তিন ব্রোকারেজ হাউজের গ্রাহকদের অর্থ দেয়া শুরু চাঙ্গা বাজারেও ক্রেতাশুন্য ২৫ কোম্পানির শেয়ার একসঙ্গে জ্বলে উঠেছে জিপি-রবি মা‌র্কেট মুভা‌রে নতুন দুই কোম্পা‌নি সূচক টেনে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টায় তিন মেগা কোম্পানি তিন কোম্পানির চমকে বেড়েছে সূচক ব্লক মার্কেটে ২৭ কোম্পানির লেনদেন অবশেষে শেয়ারবাজারে আশার ঝলক মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের অপছন্দের শীর্ষে ছিল যেসব শেয়ার
  • প্রচ্ছদ
  • শেয়ারবাজার
  • অর্থনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • বিশেষ সংবাদ
  • অনুসন্ধানী
  • অ্যানালাইসিস
  • সাক্ষাৎকার
  • বিনিয়োগকারীর কথা
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • লাইফ স্টাইল
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • জবস কর্নার
  • অন্যান্য
  • সম্পাদকীয়
  • প্রাইস সেনসেটিভ
প্রচ্ছদ » জাতীয়
Print

খালেদাকে পদ্মায় ফেলতে আর ইউনূসকে চুবিয়ে তুলতে বললেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা সেতুকে জোড়াতালির বলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেতুর ওপর থেকে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা, আর টাকা বন্ধের চেষ্টা করা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে চুবানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া বলেছিল, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না, চড়লে ভেঙে পড়বে।’’ পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে (খালেদা জিয়াকে) টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছেন, তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুই চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। একটু পদ্মা নদীতে দুইটা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়।’

আজ বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করালো ড. ইউনূস। কেন? গ্রামীণ ব্যাংকের একটা এমডির পদে তাকে থাকতে হবে। তাকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হতে। একটা উপদেষ্টা হিসেবে থাকা আরও উচ্চ মানের। সেটা সে ছাড়বে না, তার এমডিই থাকতে হবে। কিন্তু তার বয়সে কুলায় না। ড. ইউনুস কিন্তু আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু কোর্ট আর যাই পারুক, তার বয়স তো কমিয়ে দিতে পারে না, ১০ বছর। কারণ, গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে আছে ৬০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। তখন তার বয়স ৭১ বছর। এই বয়সটা কমাবে কীভাবে? সেই মামলায় সে হেরে যায়। কিন্তু প্রতিহিংসা নেয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ড. ইউনূস এবং যেটা আমরা শুনেছি মাহফুজ আনাম, তারা আমেরিকায় চলে যায়। স্টেট ডিপার্টমেন্টে যায়। হিলারির কাছে ইমেইল পাঠায়। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মি. জোলি যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তার শেষ কর্মদিবসে কোনও বোর্ড সভায় না, পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেয়। যাক, একদিকে শাপেবর হয়েছে। কেন হয়েছে? বাংলাদেশ যে নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারে, সেটা আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। কিন্তু আমাদের এখানের একজন জ্ঞানী লোক বলে ফেললেন যে, পদ্মা সেতুতে যে রেল লাইন হচ্ছে— ৪০ হাজার কোটি টাকার খরচ হচ্ছে। ৪০ হাজার কোটি টাকা তো ঋণ নিয়ে করা হচ্ছে। এই ঋণ শোধ হবে কীভাবে? দক্ষিণবঙ্গের কোনও মানুষ তো রেলে চড়বে না। তারা তো লঞ্চে যাতায়াত করে। তারা রেলে চড়তে যাবে কেন? এই রেল ভায়াবল হবে না।’

তিনি বলেন, ‘‘সেতুর কাজ হয়ে গেছে, এখন সেতু নিয়ে কথা বলে পারছে না। এখন রেলের কাজ চলছে, এখন রেলের কাজ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হয়, আমাদের সবার উনাকে চিনে রাখা উচিত। রেল গাড়ি যখন চালু হবে, তখন উনাকে নিয়ে রেলে চড়ানো উচিত। আর খালেদা জিয়া বলেছিল, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে।’ কারণ, বিভিন্ন স্প্যানগুলো যে বসাচ্ছে, ওটা ছিল তার কাছে জোড়াতালি দেওয়া। তো বলেছিল, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না, চড়লে ভেঙে পড়বে।’ তার সঙ্গে তার কিছু দোসররাও। এখন তাদেরকে কী করা উচিত?’’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে, তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দু’টা চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। একটু পদ্মা নদীতে দু’টা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়। বড় বড় অর্থনীতিবিদ, জ্ঞানী-গুণী এই ধরনের অর্বাচিনের মতো কথা বলে কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। মেগা প্রজেক্টগুলো করে নাকি খুব ভুল করছি। তারা আয়েশে বসে থাকে, আর আমার তৈরি করা সব টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করি। সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, সেটা নিয়েও এত টাকা দিয়ে স্যাটেলাইট করে কী হবে? এই প্রশ্নও কিন্তু তুলেছে তারা। অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করলে তাদের গায়ে লাগে। কেন? তাহলে তারা কি এখনও সেই পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের পদলেহনকারী, খোশামদি, তোষামদির দল? গালিটালি দিই না, দেওয়ার রুচিও নাই। তবে একটু না বলে পারি না, যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশের মেয়েদের ওপর অত্যাচার করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, পোড়ামাটি নীতি নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, সেই পাকিস্তানিদের পদলেহনকারীর দল এখনও বাংলাদেশে জীবিত— এটা হচ্ছে সব থেকে দুঃখজনক। এখনও তারা বাংলাদেশের ভালো কিছু হলে ভালো দেখে না। বাংলাদেশ এগিয়ে গেলে তাদের ভালো লাগে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশে আমরা ২০০৯-এর পরে যে সরকার গঠন করেছি, তার পরেও আমাদের কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। অগ্নি সন্ত্রাস করে বিএনপি জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারে। পেট্রোল বোমা মারে। আমরা রাস্তাঘাট বানাই, তারা রাস্তাঘাট কাটে। আমরা বৃক্ষরোপণ করি তারা গাছ কাটে। এ ভাবে দেশকে তারা বার বার ধ্বংসের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। সরকার উৎখাত করার তারা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাদের ডাকে তো জনগণ সাড়া দেয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। ওই ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়েছিল জীবনে কোনও দিন রাজনীতি করবে না। এই মুচলেকা দিয়েই কিন্তু দেশ ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু এই মামলায় বিচারের রায়ে সে সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া।’

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে সরকার প্রধান বলেন, ‘কারাগার থেকে এখন বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি। অসুস্থ সেজন্য। এইটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি। যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে, তাকেই আমি করুণা ভিক্ষা দিয়েছি, সে বাসায় থাকতে পারে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেও তাকে এটুকু সুযোগ দিয়েছি। এটা নির্বাহী আদেশে দেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমার এখানে একটা প্রশ্ন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিএনপির আমলে নির্বাচনের ইতিহাস এতই কলুষিত যে, তাদের তো এ নিয়ে কথা বলার অধিকারই নাই। কোন মুখে তারা বলে? ঢাকা-১০ এ ফালু ইলেকশন করেছিল, সেই ইলেকশনের চিত্র নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। মাগুরা ইলেকশন, যে ইলেকশন নিয়ে আমরা আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে উৎখাত করলাম। মিরপুর ইলেকশন, প্রত্যেকটা সময় তো আমরা দেখেছি, তাদের ইলেকশনের চিত্র। আর এমনিতে সেই ৭৭-এর হ্যা/না, ৭৮-এর রাষ্ট্রপতি, ৭৯-র সাধারণ নির্বাচন, ৮১-র নির্বাচন। প্রত্যেক নির্বাচনই তো আমাদের দেখা। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। যাদের নির্বাচনের এত কলুষিত এর রেকর্ড, তাদের মুখে এখন নির্বাচনের প্রশ্ন।’

নির্বাচনের উন্নতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি, সেগুলো আমাদেরই সিদ্ধান্ত। আমাদেরই চিন্তা। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ইভিএম— একটা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে, এর সবকিছু তো আমরা। নির্বাচনে যাতে মানুষ ভোট দেবার অধিকার পায়, সে অধিকারটাই তো সব থেকে বড়। সেটাই আমরা করতে চেয়েছি। এটা নিয়ে তো তাদের প্রশ্ন তোলার কোনও অর্থই হয় না। কারণ, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তিটা আছে বলেই এবং জনগণের শক্তিতে আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পেরেছি।’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এর ভেতরে আমাদের কিছু আঁতেল আবার জুটেছে। একজন অর্থনীতিবিদ বলেই দিলো— আমরা যে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছি, এটা নাকি অর্থনৈতিকভাবে ভীষণ ক্ষতিকর। আমার প্রশ্ন হচ্ছে— যে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, এটা হচ্ছে সব থেকে পরিবেশবান্ধব। গ্যাস তো চিরদিন থাকে না। একেকটা কূপ খনন করে তার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। তেলভিত্তিক, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ আমরা করি। অনেক খরচেরও ব্যাপার। যদি কোনও দিন এমন হয় যে, আমাদের গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে, তখন এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টই তো আমাদের বিদ্যুৎ দেবে। এটা সব থেকে পরিবেশবান্ধব একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখানে বিনিয়োগটা বড় করে দেখা যায়। কিন্তু এর বিদ্যুৎ যখন উৎপাদন হবে। আর এই বিদ্যুৎ যখন মানুষ ব্যবহার করবে, আমাদের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে।’

বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি বলেই সারা বাংলাদেশে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আমরা পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা যখন শুরু করলাম, রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে, তখন সেটা নিয়েও অনেক কথা বলে গেছে। আজকে যে বিদ্যুৎ আমরা করেছি, সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করেই আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই ঘোষণা নিয়ে ব্যঙ্গ করে। আজকে সেই ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করেই আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। এটা বোধহয় ভুলে যায়, তারা যে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে, সেটা কিন্তু আমরা দিচ্ছি।’

খালেদা জিয়া ও এরশাদের আমলের সাথে বর্তমান আমলের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আমলে, জিয়ার আমলে, এরশাদের আমলে তাদের কী কথা বলার কোনও সুযোগ ছিল? কতটুকু অধিকার ভোগ করতো তারা? বেসরকারি টেলিভিশন এত দিয়ে দিয়েছি যে, সারা দিন-রাত টকশো করে। আমি মাঝে মাঝে বলি, এত টক টক কথা না বলে একটু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। কত আর টক টক কথা বলবেন। টকশো তারা করে যাচ্ছে। কেউ তো তাদের গলা চিপে ধরে নাই। মুখ চেপেও ধরি না। কথা বলেই যাচ্ছে। তবে হ্যা, সব কথা বলার শেষে বলে কথা বলতে দেওয়া হয় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির একনেতা তো সারা দিন মুখে মাইক লাগিয়েই আছে। সারাক্ষণ কথা বলেই যাচ্ছে। একবার কথা বলতে বলতে গলায় অসুখও হলো। যাক, চিকিৎসা করে এসে আবার কথা বলছে। তার কথা তো কেউ বন্ধ করছে না। তাদের আন্দোলনে যদি জনগণ সাড়া না দেয়, সে দোষটা কাদের? রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যে অর্থনীতিবিদ— তাকে আমি বলবো, তিনি কি এটা প্রকৃতপক্ষে জেনেই বলছেন না জেনে বলছেন? আমি তার জ্ঞান নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলবো না, তারা অনেক ভালো লেখাপড়া জানেন। কিন্তু একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেয়ে মানুষের, একটা জাতির যে কতটুকু উন্নতি হতে পারে, সেটা আজকের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নটা বাইরের লোকও দেখে, কিন্তু তারা দেখে না।’

শেখ হাসিনা নিজের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘সেদিন যখন এয়ারপোর্টে নামি, হাজার হাজার মানুষ। ৩০ জুলাই যখন ঢাকা ছেড়ে যাই— কামাল, জামাল ও তাদের স্ত্রী, রাসেল সবাই এয়ারপোর্টে ছিল। আর ১৭ মে যখন নেমে আসি, আমার আপনজনদের কাউকেই পাইনি। তবে পেয়েছিলাম অগণিত বাংলাদেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। তাদের মাঝেই খুঁজে পেয়েছিলাম হারানো বাবা-মায়ের স্নেহ, আস্থা-বিশ্বাসের ঠিকানা। নিজের ব্যথা বেদনা শোক সবকিছু বুকে নিয়ে ফিরে এসেছিলাম, এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আমাকে সভাপতি করা হয়। একজন রাজনৈতিক কর্মী ছিলাম। ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। তবে, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে স্কুলজীবন থেকেই সক্রিয় ছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো একটি সংগঠনে আসবো কখনও ভাবিনি। আমি কখনও চিন্তা করিনি। যেদিন এই ঘোষণাটা আসে রেহানা আমার কাছেই ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিই। আমি দেশে আসবো। যাহোক আমি ফিরে আসি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমার সঙ্গে দেখা করতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি গিয়েছিল। তাদেরকে শর্ত দিয়েছিলাম— আওয়ামী লীগের একটি কাউন্সিলও যদি বলে আমাকে চায় না, সেদিন কিন্তু আমি থাকবো না।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ফেরার পর আমার একটাই কাজ ছিল দলকে সুসংগঠিত করা। আওয়ামী লীগের নির্যাতিত নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের খবর নেওয়ার চেষ্টা করি।’

১৯৮২ সালে আওয়ামী লীগের দল ভাগ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো ১৯৮২ সালে আমাদের পার্টিটা আবার ভাগ হয়ে গেলো। যেটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। ভাগটি করলো তারাই যাদের ওপর বেশি ভরসা করেছিলাম এবং প্রবাসে থেকে যাদের সংগঠন গড়ে তুলতে সহযোগিতা করেছিলাম। যাদের বেশি সহযোগিতা করেছি, আমি আসার পর তারাই বেঈমানি করে চলে গেলো এবং তারা দলের একটি ভালো অংশই নিয়ে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আর তারপর থেকেই আমার যাত্রা শুরু হয়— প্রথম দলটিকে সুসংগঠিত করার। আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করা ছিল বড় কাজ। সেটাই আমি করার চেষ্টা করি। পঁচাত্তরের পর জনগণের ক্ষমতা যে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আমার লক্ষ্য ছিল— সেই ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরিয়ে এনে জনগণের হাতে ‍তুলে দেওয়া। আজ দাবি করতে পারি, সেটা আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।’

১৫ আগস্টের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট আমরা কেবল আপনজন হারিয়েছি তা নয়, এদেশের জনগণ হারিয়েছিল তাদের ভোট, গণতন্ত্র ও বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়েছিল। জীবনমান উন্নয়নের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, সেটাও হারিয়ে গেছে।’

এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট আমাদের পরিবারের সব সদস্য হারিয়েছিলাম আমি ও আমার ছোট বোন রেহানা। আমরা বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই বাঁচা কোনও আনন্দের বাঁচা ছিল না। এ বাঁচা ছিল অনেক যন্ত্রণা ভোগ করার বাঁচা। এ বাঁচা ছিল মৃত্যুর থেকেও কঠিনভাবে বাঁচা। রিফিউজি হিসেবে বিদেশের মাটিতে থাকতে হয়েছে। নিজেদের নামটাও ব্যবহার করতে পারিনি। পরিচয়টাও দিতে পারিনি। থাকা-খাওয়ার সমস্যা ছিল না। ভারতের সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী আমাদের সব ব্যবস্থাই আমাদের জন্য করেছিলেন। কিন্তু যে কষ্ট, যন্ত্রণা ভোগ করেছি, পাশাপাশি দেশের মানুষেরও খবর রাখতে চেষ্টা করেছি।’

১৫ আগস্টের হত্যার বিচার প্রথম চায় রেহানা। এ প্রসঙ্গে তিনি শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৯ সালে সুইডেনে রেহানা প্রথম ১৫ আগস্টের হত্যার প্রতিবাদ করেছিল। অ্যাম্বাসেডর ড. রাজ্জাক ১৫ আগস্টের পর পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি হত্যার প্রতিবাদে একটা সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে রেহানাকে অনেক কষ্ট করে যেতে হয়েছিল। সেখানে সে প্রথম হত্যার বিচার চায় এবং প্রতিবাদ জানায়। ১৯৮০ সালে লন্ডনে গিয়ে সংগঠনটাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কয়েকজন এমপিকে নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের পক্ষ থেকে টমাস উইলিয়াম কিউসিকে বাংলাদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিলে, জিয়াউর রহমান তাকে ভিসা দেয়নি।’

হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে গিয়েছিল। তখন নিজেই নিহত হয়।’

জিয়াউর রহমানের নির্বাচনকে কলুষিত করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেই নির্বাচনে ভোটের দরকার পড়েনি। নির্বাচন মানেই সিল মারা, বাক্স ভরা এবং রেজাল্ট ঘোষণা দেওয়া। জিয়াউর রহমানের আমলে যতটা নির্বাচন তার সবই এভাবে হয়েছিল। ১৯৮১ সালের প্রহসনের নির্বাচন দেখেছি। ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কয়টা সিট দেবে, তা আগেই ঠিক করা ছিল। নির্বাচন নিয়ে খেলা, প্রহসন ও নির্বাচনকে কলুষিত করা জিয়াউর রহমানই শুরু করে। সেই সাতাত্তর, আটাত্তর, ঊনআশি সালে শুরু হয়। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া, গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়া, মার্শাল ল দিয়ে রাষ্ট্র চালানো। প্রতি রাতে কারফিউ। ৭৫-এর পর যে কারফিউ দেওয়া শুরু হয়, সেটা ১৯৮৬ সালে এসে প্রত্যাহার হয়। এটাই ছিল বাংলাদেশের চিত্র। অনেকে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু ৭৫-এর পর দেখেছি, ভোটের বাক্স ছিনতাই, বাক্স ভরা। প্রতিপক্ষকে আঘাত করা। খুব বেশিদূর যাওয়া লাগবে না, ২০০১ সালের নির্বাচনটি যদি দেখা যায়…। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন।’

আ.লীগের কিছু বেঈমানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর সেনাপ্রধান, স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি, এরপর আবার রাষ্ট্রপতি প্রার্থী। এরপর দল গঠন শুরু। প্রথমে জাগো দল, তারপর ১৯ দফা বাস্তবায়ন কমিটি। তৃতীয় ধাপে এসে বিএনপি। সেখানে যত রকমের স্বাধীনতাবিরোধী ও খুনিরা যুক্ত হয়। আমাদের দলের কিছু বেঈমানও যুক্ত হয়। খন্দকার মোশতাকও চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগকে ভাঙতে, কিন্তু পারেনি। এরপর জিয়াও এই চেষ্টা করে।’

শেয়ারনিউজ, ১৮ মে ২০২২

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জামিন পেলেন বিএনপিপন্থী ৬ আইনজীবী

চিকিৎসার জন্য ফের থাইল্যান্ড গেলেন রওশন

মঙ্গলবার করোনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৯৮

লোডশেডিংয়ের কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

সারাদেশে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১০৭: স্বাস্থ্য অধিদফতর

ঢাকা আসছেন প্রিন্স চার্লস

পদ্মা সেতুতে মা-বোনের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত জয়

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ছে

বুয়েটে প্রথম হওয়া আসীর ঢাবিতেও প্রথম

১০৫ যাত্রীর বগি রেখেই চলে গেল ট্রেন

বিশ্বের দুঃখী দেশের তালিকায় সপ্তম বাংলাদেশ

জাতীয় - এর সব খবর

http://www.sharenews24.com/
For Advertisement
সর্বশেষ খবর
  • শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু মীর সিকিউরিটিজের
  • পি কে হালদারের ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান
  • মোবাইল থেকে ব্যাংক হিসাবের লেনদেন সীমা আরও বাড়ল
  • ঈদের ছু‌টি‌তে ঢাকায় ব্যাংক খোলা, লেনদেন রাত ৮টা পর্যন্ত
  • ডিএসইর শীর্ষ লেনদেন তালিকায় থেকেও ক্রেতাশূন্য
  • তিন ব্রোকারেজ হাউজের গ্রাহকদের অর্থ দেয়া শুরু
  • রাজস্বব্যবস্থাকে বদলে দেওয়ার ঘোষণা
  • চাঙ্গা বাজারেও ক্রেতাশুন্য ২৫ কোম্পানির শেয়ার
  • একসঙ্গে জ্বলে উঠেছে জিপি-রবি
  • মা‌র্কেট মুভা‌রে নতুন দুই কোম্পা‌নি
  • সূচক টেনে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টায় তিন মেগা কোম্পানি
  • ব্লক মার্কেটে ২৭ কোম্পানির লেনদেন
  • অবশেষে শেয়ারবাজারে আশার ঝলক
  • চীনে অ্যালুমিনিয়াম তার সরবরাহ করবে ইস্টার্ন কেবলস
  • বিক্রেতা উধাও ৩ কোম্পানির
  • শেয়ারবাজার
  • শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু মীর সিকিউরিটিজের
  • ডিএসইর শীর্ষ লেনদেন তালিকায় থেকেও ক্রেতাশূন্য
  • তিন ব্রোকারেজ হাউজের গ্রাহকদের অর্থ দেয়া শুরু
  • চাঙ্গা বাজারেও ক্রেতাশুন্য ২৫ কোম্পানির শেয়ার
  • একসঙ্গে জ্বলে উঠেছে জিপি-রবি
  • মা‌র্কেট মুভা‌রে নতুন দুই কোম্পা‌নি
  • সূচক টেনে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টায় তিন মেগা কোম্পানি
  • তিন কোম্পানির চমকে বেড়েছে সূচক
  • ব্লক মার্কেটে ২৭ কোম্পানির লেনদেন
  • অবশেষে শেয়ারবাজারে আশার ঝলক
  • মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের অপছন্দের শীর্ষে ছিল যেসব শেয়ার
  • মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল যেসব শেয়ার
  • মঙ্গলবার লেনদেনের শীর্ষে উঠেছে যেসব কোম্পানি
  • চীনে অ্যালুমিনিয়াম তার সরবরাহ করবে ইস্টার্ন কেবলস
  • বিক্রেতা উধাও ৩ কোম্পানির
  • এস ও এসের ৬০ শতাংশ শেয়ার কেনার চুক্তি এডিএন টেলিকমের
  • সিটি ব্যাংকের ডিভিডেন্ড প্রেরণ
  • আজ স্পট মার্কেটে ৪ কোম্পানির লেনদেন শুরু
  • আজ দুই প্রতিষ্ঠানের লেনদেন চালু
  • শেয়ারবাজার থেকে ১৬ কোম্পানি সংগ্রহ করবে ১১শ’ কোটি টাকা
  • প্রকাশক ও সম্পাদক: ইয়াসমিন আক্তার পপি
    নির্বাহী সম্পাদক : রশিদ আহমেদ (মামুন)
    বানিজ্যিক কার্যালয় : ড্রিম হোল্ডিংস লিমিটেড, ৫৮ দিলকুশা (ষষ্ঠ তলা), মতিঝিল, ঢাকা - ১০০০।
    মোবাইল : ০১৭১৩৪১০৮১০, ই-মেইল: [email protected]

    বিজ্ঞাপন | DMCA.com Protection Status

    Copyright © 2011 - 2022 Sharenews24.com. Developed by Green Tech Solution