নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২২ জুন) ক্রেতা সংকটের তালিকায় ‘এ’ক্যাটাগরি বা বনেদি শেয়ারের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ারদর কমেছে ২৮২টির। এরমধ্যে ক্রেতা সংকটে ছিলো ৫০টি কোম্পানির মতো। যার অধিকাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরির।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আজ ক্রেতা সংকটে থাকা কোম্পানিগুলোর প্রথম ১০টির মধ্যে ৮টি কোম্পানিই ছিল ‘এ’ক্যাটাগরির। কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, কেডিএস এক্সেসোরিজ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, জিএসপি ফাইন্যান্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এইচ আর টেক্সটাইল, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ও সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড।
পরবর্তী ১০টির মধ্যে ৭টি ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরির। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামি ইন্সুরেন্স, পিপলস ইন্সুরেন্স, কাশেম ইন্ডাষ্ট্রিজ, প্রাইম লাইফ ইন্সুরেন্স, অ্যাপেক্স ট্যানারি, ব্র্যাক ব্যাংক ও সাইফ পাওয়ার।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানী মানে যেসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ন্যুনতম ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেয়। এসব কোম্পানির মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেয়, এমন কোম্পানিও রয়েছে। কিন্তু যখন পতন হয়, তখন শ্রেণিভেদ মানে না। বরং যেগুলো ভালো ডিভিডেন্ড দেয়, সেগুলোর দর আরও বেশি পড়ে। কারণ আমাদের দেশের শেয়ারবাজার কোনো নিয়মে চলে না, এমটাই আক্ষেপের সুরে বলছেন বাজার বিশ্লেষকরা।