নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ডে প্রায় ৮ মাস চিকিৎসা নিয়ে আগামী ২৭ জুন থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় নেতার সহকারী একান্ত সচিব মামুন হাসান গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ জুন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করবেন রওশন। রওশনের সঙ্গে তাঁর ছেলে ও জাপার যুগ্ম মহাসচিব সাদ এরশাদ এবং তাঁর স্ত্রী মাহিমা এরশাদও দেশে ফিরবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী ৪ জুলাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রওশন আবারও থাইল্যান্ড যাবেন।
এর আগে গত ৫ বছরের নভেম্বর অনেকটা মুমূর্ষু অবস্থায় রওশন এরশাদকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। এর আগে দীর্ঘদিন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা চলে তাঁর।
থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে প্রায় আট মাস ধরে চিকিৎসাধীন তিনি। এর মধ্যে কয়েক দফা শারীরিক অবস্থার উন্নতি-অবনতি হয়েছে তাঁর। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একাধিকবার মৃত্যুর গুজবও উঠেছে। তবে রওশন এখন আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ বলে জানিয়েছেন সাদ এরশাদ। তিনি জানান, রওশন এরশাদ এখন অনেক ভালো আছেন।
এদিকে ব্যক্তিগত সফরে ২৩ জুন বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ওই দিন বেলা দেড়টার দিকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে তাঁর। এই সফরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
দলের একটি সূত্র বলছে, কয়েক মাস ধরে রওশন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকলেও এই সময়ে তাঁর খুব একটা খোঁজখবর নিতে পারেননি কাদের। এই দুই নেতার মাঝে সম্পর্কও ভালো যাচ্ছে না। সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ থেকেই জিএম কাদেরের এই সফর।