নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় এবার জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সংসদ অধিবেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশন বসেনি। শুক্রবারও সংসদ অধিবেশন বসবে না।
বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে খাদ্য, তেল ও ওষুধ আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কার আমদানিকারকেরা, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি ও নিয়মিত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্নতার কারণে শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে জ্বালানির সংকট এড়াতে স্কুল ও রাজ্য অফিসগুলো বন্ধ করেছিল শ্রীলঙ্কা সরকার।
দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা জানিয়েছেন, পেট্রলের একটি চালান বৃহস্পতিবার পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা বিলম্বিত হয়েছে। এর জন্য তিনি গাড়িচালকদের গাড়ি চালানো কমিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
রাজধানী কলম্বোয় সাংবাদিকদের জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ও আগামীকাল পেট্রলপাম্পের স্টেশনগুলো থেকে সীমিত পরিমাণে জ্বালানি বিতরণ করা হবে।’ তবে গাড়িচালকেরা কয়েক দিন ধরে পেট্রলপাম্পগুলোর সামনে লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন।
দেশটির অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি স্থিতিশীল ও পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ভারতীয় সাহায্য কর্মসূচির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে গত বুধবার বলেছেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পুরোপুরি ধসে পড়েছে। আমরা এখন জ্বালানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও খাদ্যের ঘাটতি ছাড়াও আরও গুরুতর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি।’
বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কা স্মরণকালের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। দেশটি গত এপ্রিলে ৫১ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণখেলাপি হয়েছে। সংকট উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। আইএমএফের সহায়তা পেতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।