নিজস্ব প্রতিবেদক: আসাদ রউফ পাকিস্তানে ক্রিকেটের সাথেই পরিচিত। খেলার ক্যারিয়ার শেষ করে তিনি দীর্ঘকাল আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর জড়িয়ে পড়েন যৌন কেলেঙ্কারিতে। এখন ক্রিকেট থেকে ছিটকে পড়ে লাহোরে জুতা বিক্রি করছেন সাবেক এই আম্পায়ার।
এক সময়ে আসাদ রউফের ক্রিকেটই ছিল ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু নতুন পেশা নিয়ে এতটাই মনোযোগী যে ক্রিকেটের কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না তিনি। ব্যবসা নিয়ে সারাক্ষণ ডুবে থাকেন।
সাবেক আম্পায়ার আসাদ রউফ বলেছেন, ‘জীবনে বহু ম্যাচে আম্পায়ার ছিলাম। তাই নতুন করে দেখার কিছু নাই। ২০১৩ সালের পর থেকে ক্রিকেটের কোনো খবর রাখি না। একবার যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি, তাকে সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করি।’
২০১২ সালের ঘটনা। আসাদ রউফের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন মুম্বাইয়ের এক মডেল। মডেল দাবি করেছিলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসাদ তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন।
আসাদ অবশ্য আগের মতো এখনো অস্বীকার করে বলেছেন, ‘মডেলের অভিযোগের পরের মৌসুমেও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) আম্পায়ার ছিলাম। এটা সত্য যে ঘটনার পর কিছুটা ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।’
সে ঘটনায় আসাদের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শেষ না হলেও ২০১৩ সালের ঘটনায় তাঁর ক্যারিয়ার শেষ হয়েছিল। এর পরে আর কোনো ম্যাচে আম্পায়ারিং করেননি তিনি। অভিযোগ ছিল, জুয়াড়িদের দামি উপহার ও টাকার বিনিময়ে ফিক্সিং করেছিলেন ম্যাচে। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক বোর্ড (বিসিসিআই) ২০১৬ সালে তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।
এই প্রসঙ্গে আসাদ রউফ বলেছেন, ‘জীবনের সুন্দর মুহূর্ত কেটেছে আইপিএলে। এ নিয়ে এখন আর কিছু বলতে চাই না। বিসিসিআই নিজেরাই অভিযোগ করেছিল এবং তারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’
আসাদ রউফ আম্পায়ারিং শুরুর অল্প সময়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এলিট প্যানেলের সদস্য হয়েছিলেন। তিনি ক্যারিয়ারে সব সংস্করণ মিলিয়ে ১৭০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
খবরে বলা হয়, আসাদ লাহোরের লান্ডা বাজারে যে দোকান চালান, সেখানে পুরোনো জুতার সঙ্গে কম দামে পুরোনো কাপড়ও বিক্রি করেন। তাঁর এ রকম দোকানের বিষয়ে বলেছেন, ‘কর্মচারীদের জন্য এই কাজ করছি। যেন ওদের সংসার চলে। আর যা-ই করি না কেন, সেটার সর্বোচ্চ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করি। তাই ক্রিকেটের মতো দোকানদার হিসেবেও শিখরে পৌঁছাতে চাই।’