নিজস্ব প্রতিবেদক: কোভিড লকডাউনের মধ্যে মদের পার্টির আয়োজন করে কড় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এর জেরে উপনির্বাচনে হার নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক চাপে রয়েছেন বরিস জনসন। তবে পদত্যাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া নয়, তার লক্ষ্য হচ্ছে আগামী দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা।
তিনি বলেন, এই আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারলে তিনিই হবেন ২০০ বছরের মধ্যে একটানা সবচেয়ে বেশি সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা রাজনীতিক।
অথচ চলতি মাসের শুরুতেই দলের ভেতর নেতৃত্বের পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল তাকে; ৪১ শতাংশ রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা তার বিরুদ্ধে অবস্থানও নিয়েছিলেন। পার্লামেন্টকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করেছেন, এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি লিখেছে, সম্প্রতি হওয়া উপনির্বাচনে দুটি আসন হাতছাড়া হওয়ার পর দলের প্রভাবশালী অনেক সদস্যও তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, তবুও দায়িত্ব ছাড়তে নারাজ জনসন।
প্রতিবেদনে বিবিসি বলেছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনসনের প্রতি ব্রিটিশ ভোটারদের যে বিপুল সমর্থন দেখা গিয়েছিল, লকডাউনের মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে মদের পার্টি আয়োজন নিয়ে কেলেঙ্কারি তাতে যে ফাটল ধরিয়েছে, উপনির্বাচনের ফলই তা বলছে বলে মত বিশ্লেষকদের।