নিজস্ব প্রতিবেদক: ইরাকের আকাশ কমলা রঙে ঢেকে যাচ্ছে । এর কারণ দেশটির ধূলিঝড়। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ধূলিঝড়ে যেমন কমলা হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন শহরের রঙ। তেমনই বাড়ছে জনদুর্ভোগ। বিষয়টি নিয়ে ইরাকের প্রেসিডেন্টও শঙ্কিত।
গত ২৬ জুন শুরু হয় প্রবল ধূলিঝড়। তাতে আবার প্রায় কমলা হয়ে যায় কারবালা শহরের ইমাম হোসেন মাজার। গত এপ্রিল থেকে ইরাকে এটি একাদশ ধূলিঝড়। ধূলায় ছেয়ে যাওয়া বসরা নগরীর এই ছবিটি গত ১৬ জুনের। এত নিয়মিত বিরতিতে ধূলিঝড় হওয়ার অন্যতম কারণ দীর্ঘ খরা, মাটির গঠনে পরিবর্তন এবং উচ্চ তাপমাত্রা। এসবের মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। চলতি মাসে (৫ জুন) আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস উদযাপনের সময় জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহ। তিনি বলেন, জলবায়ুর ক্ষতিকর পরিবর্তনের বিষয়ে এখন থেকেই সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে বড় সংকট অনিবার্য। নীচের ছবিটি ২৪ মে-র ধূলিঢাকা দুহক শহরের।
ধূলিঝড়ে অনেকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ভিড় জমে হাসপাতালে। মে মাসে কয়েক হাজার মানুষ শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। করোনার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় ইরাকে স্বাস্থ্যবিধিও শিথিল হয়েছিল। মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছিলেন অনেকে। তবে ধূলিঝড়ের কারণে শ্বাসকষ্ট থেকে বাঁচতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। ছবির এই নারীর মতো ঝড় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাই মাস্ক পরে নেন অনেকেই।