নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রামীনফোনের নতুন সিম নিবন্ধন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় আজও লেনদেনের শুরুতেই কোম্পানিটির শেয়ার ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে। আগেরদিনও কোম্পানিটির শেয়ার ক্রেতাশূণ্য ছিল। অন্যদিকে রবির শেয়ারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে আজ বিনিয়োগকারীদের মাঝে কোম্পানি দুটির শেয়ার নিয়ে বিপরীত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আজ রবি আজিয়াটার শেয়ার দর বেড়েছে ৩ টাকা বা ৯.৯৭ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিলে ৩০ টাকা ১০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সায়।
অন্যদিকে গ্রামীণফোনের শেয়ারদর কমেছে ৫ টাকা ৮০ পয়সা বা ১.৯৭ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৯৪ টাকা ১০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ২৮৮ টাকা ৩০ পয়সায়।
এর আগে মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। গত বুধবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল। আবার বিটিআরসির পরীক্ষাতেও সেবার মান সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি।
এতে করে কোম্পানিটির মুনাফা কমে যাবে ধারণ করা হচ্ছে। যার কারণে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। এই কারণে বাজারে কোম্পানিটির বিক্রির চাপ বেড়েছে। এতে করে আজ কোম্পানিটির শেয়ারদর কমে সর্বোচ্চ সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করেছে। অন্যদিকে, রবি আজিয়াটার শেয়ার ক্রয়ের চাপ বেড়েছে বাজারে। যার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারদরর বেড়েছে এবং শেষদিকে বিক্রেতা সংকটে পড়ে কোম্পানিটির শেয়ার।
কারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি বন্ধের কারণে বাজারে রবির ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে কোম্পানিটির মুনাফা বাড়বে। মুনাফা বাড়লে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ভালো ডিভিডেন্ড দিতে পারবে। এতে করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কাছে গ্রামীনফোনের জায়গা দখল করতে পারবে।
তবে সচেতন বিনিয়োগকারীরা বলছেন, রবির ডিরেক্টরদের কাছে থাকা ৯০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি হবে আগামী বছর। এতে করে বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের সরবরাহ বেড়ে যেতে পারে। সেই সময় বেশি দামে শেয়ারগুলো বিনিয়োগকারীদের উপর চাপিয়ে দিতে পারে-বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এমন শঙ্কা বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। যার কারণে রবির শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে বাজার বিশ্লেষকরাও।