নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের বাজেট পাশ হওয়ার পর টানা দুই দিন পতন প্রবণতায় ছিল দেশের শেয়ারবাজার। ওই দুই দিনে সূচক কমে যায় ২৯ পয়েন্ট। তবে তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। এদিন সূচক বাড়ে ২৫ পয়েন্ট। কিন্তু তারপর দিনই বাজার ফের পতন প্রবণতায় ফিরে আসে। লেনদেনও কমে যায় অনেক।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের চুতর্থ কার্যদিবস আজ বুধবার লেনদেন শুরু হয়েছিল বেশ আলো ছড়িয়ে। এই সময়ে সূচক ও লেনদেনের গতিও আশাব্যঞ্জক। কিন্তু আধা ঘন্টা পরই সেই আলো অন্ধকারে চলে যায়। এই সময় সূচক টানা কমতে থাকে। যা সোয়া ১টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এই সময়ে বাজারে উপরে উঠার চেয়ে নিচে নামার প্রবণতাই বেশি থাকে।
তবে শেষের এক ঘন্টা বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা করে। কিন্তু সবশেষের দুই মিনিটে সবকিছু ফের ওলটপালট হয়ে যায়। অ্যাডজাস্টমেন্টের চাপে শেষের দুই মিনিটে সূচক কমে যায় ১০ পয়েন্ট। শেষ পর্যন্ত সূচক ৬ পয়েন্ট কমে যায়।
বুধবারের বাজার চিত্র:
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ ৬.০৮ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬৬.০৫ পয়েন্টে।
ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.০৫ পয়েন্ট বা ০.০০৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২.০৫ পয়েন্ট বা ০.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৯.১৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৯৯.৮৬ পয়েন্টে।
টাকার পরিমাণে ডিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৯৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার।
ডিএসইতে ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮ টির বা ৩০.৮৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২১০ টির বা ৫৪.৯৭ শতাংশের এবং ৫৪ টির বা ১৪.১৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২০.৬২ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৯.৪৮ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ৩০২ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮৭ টির, কমেছে ১৭২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩ টির দর। আজ সিএসইতে ২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।