নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিস জনসনের মন্ত্রী সভায় ঋষি সুনাক এবং সাজিদ জাভিদের পদত্যাগ দিয়ে শুরু। এরপর বৃহস্পতিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভার ৪০ জনের বেশি মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ব্রিটেনের কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবিতে দেশটির মন্ত্রীদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়লেও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বরিস জনসন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিস জনসনের সমালোচনা করায় কমিউনিটি সেক্রেটারি মাইকেল গভকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেন বরিস জনসন।
এদিকে, বরিসের ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ পার্টির মধ্যে তীব্র বিদ্রোহ এবং মন্ত্রিসভা থেকে একের পর এক পদত্যাগের পর তার প্রধানমন্ত্রিত্ব রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বরিস জনসন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ প্রথম পদত্যাগ করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী উইল কুইন্সসহ বেশ কয়েকজন বুধবার পদত্যাগ করা শুরু করেন। ধীরে ধীরে পদত্যাগকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বরিস জনসনকে বুধবার পার্লামেন্টে তীব্র প্রশ্নবানের মুখোমুখি হতে হয়। তিনি অবশ্য সেখানে বলেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনগণ তাকে বিপুল ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে চান।