নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ স্ত্রী। পরে নিজেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে উপস্থিত।
শনিবার রাতে রাজধানীর ওয়ারী ধোলাইখাল রায় সাহেব বাজার নাভানা টাওয়ারের পেছনে একটি ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী তুষার মোল্লা (২৭) একজন পোশাক শ্রমিক। অভিযুক্ত নার্গিস স্বামীর গোপন অঙ্গ কাটার দায় স্বীকার করেছেন।
নার্গিস জানান, তিনি তুষারের দ্বিতীয় স্ত্রী। বড় স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন। গত মার্চে তুষার আরেকটি বিয়ে করেছেন। তাঁকে নিয়ে কেরানীগঞ্জ এলাকায় থাকেন।
নার্গিস আরও জানান, তাঁর অনুমতি না নিয়ে তুষার আরেকটি বিয়ে করেছেন। বিষয়টি তিনি জানতে পেরে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নার্গিস বলেন, ‘আমার স্বামী একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। বেতন পায় দশ হাজার টাকা মাত্র। এই টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। আমাদেরও একটি ছয় মাস বয়সের মেয়ে সন্তান আছে। কিছুদিন আগে সে আমার কাছে বিয়ের কথা স্বীকার করে।’
নার্গিস বলেন, ‘রাতে আমার স্বামী বাসায় ঘুমিয়ে ছিল। এই সব ক্ষোভের কারণে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোরা দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলি। পরে নিজেই স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রচণ্ড জিদের বশে আমি এই কাজ করেছি।’
এই বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালে তুষারের চিকিৎসা চলছে। তাঁর সম্পূর্ণ পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর তাঁর স্ত্রীর নার্গিস পুলিশ হেফাজতে আছেন।
ঘটনা সম্পর্কে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘নাভানা টাওয়ারের পেছনে একটি বাসায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। হাসপাতাল থেকে আমরা তুষারের স্ত্রী নার্গিসকে থানায় নিয়ে আসি। তুষারের বড় ভাই উজ্জ্বল মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত নার্গিসকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’