বিনিয়োগকারীকে জেনে-বুঝে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ফাইনান্সিয়াল লিটারেসির শুভেচ্ছা দূত সাকিব আল হাসান। আজবৃহস্পতিবার (১ ফেরুয়ারি) চট্রগ্রামের ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফেয়ারে এসে তিনি এ কথা বলেন। এর আগেইনভেস্টমেন্ট ফেয়ারের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি। নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী ৩ ফেরুয়ারি পর্যন্ত।
সিএসইর চেয়ারম্যান এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার।
অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসান বলেন, বিনিয়োগকারীদের জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখার জন্য বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। ব্যাংকে সুদ দিতে হয়। আপনারা পুঁজিবাজারে আসুন। বিনিয়োগ শিক্ষা নিয়ে এ বাজারে বিনিয়োগ করুন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান ড.এম খায়রুল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য সময় জ্ঞান অনেক বেশি জরুরি। সময় জ্ঞান নিয়ে জেনে বুঝে বিনিয়োগ করতে পারলে পুঁজিবাজার থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব। আর এটি করতে না পারলে এখান থেকে মুনাফা করা সম্ভব নয়।
উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে আসলে আপনাদের কোম্পানির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে সুদ দেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা থাকে, সেটি থাকবে না। পুঁজিবাজার থেকে নেওয়া টাকার জন্য বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিলেই হবে।
সিএসইর চেয়ারম্যান এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আামি গর্বিত এই জন্যে যে, আমাদের মার্কেট শেয়ার এখনো কম হলেও ২০১৭ সালে ভালো ভূমিকা রাখে। এর বার্ষিক মোট লেনদেন মূল্য ২০১৬ সালে ছিল ৭ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। যা ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭ সালে ১৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকাতে উন্নীত হয়েছে।
জানুয়ারি ২০১৬ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত সিএসই ৫৫ কোটি টাকা নীট মুনাফা অর্জন করে। আনন্দের বিষয় যে, গেল বছর সিএসই এর বার্ষিক টার্নওভার ৭২ ভাগ এবং শেয়ার ৬৩ ভাগ বেড়েছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রবৃদ্ধি থেকে বেশী। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গেল বছরে বার্ষিক টার্নওভার বেড়েছে ৫৪ ভাগ এবং শেয়ার বেড়েছে ৫৫ ভাগ।
স্বাগত বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, কয়েকটি উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজারের এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম উদ্যেশ্যগুলো হলো চট্টগ্রাম ভিত্তিক বিনিয়োগকারী বাড়ানো, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের পুঁজিবাজারের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে যাতে অবদান আরও বাড়ানো যায়।
মেলায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা আগত দর্শনার্থীদের মাঝে ক্যাপিটাল মার্কেট ও ইনভেস্টমেন্টের নানা দিক তুলে ধরছেন।