ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬: জাল দলিলে পপুলার লাইফের জমি ক্রয়ের নামে কোম্পানির তহবিল থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সম্পত্তি আত্মসাৎ মামলার তদন্ত আবারো শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চার বছর স্থগিত থাকার পর আবারো শুরু হলো তদন্ত কার্যক্রম। সম্প্রতি দুদকের বিশেষ তদন্ত শাখা তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে উপ-পরিচালক এসএম আখতার হামিদ ভুইয়াকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, রাজধানীর গুলশানের কড়াইল মৌজার ৬৫ খতিয়ানভুক্ত ৫০১, ৫০২ ও ৫০৩ নম্বর দাগের ৬ দশমিক ৬৭ একর জমির (৪০৪ দশমিক ৫৮ কাঠা) মালিক বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিঃ (বিটিসিএল)। জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী এ সম্পত্তির মূল্য ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জমিটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ও ওয়ারিশ দাঁড় করিয়ে জনৈকা নাজমা বেগমের কাছ থেকে কিনে নেয় বেসরকারি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান পপুলার লাইফ। গুলশানের তৎকালিন সাব-রেজিস্ট্রার হেলালউদ্দিন ২৯৪ কোটি টাকা মূল্য দেখিয়ে ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে জমিটি সাফকবলা রেজিস্ট্রি (দলিল নং- ৯৫৬০) করেন। নাজমা বেগমের অনুকূলে ৯১ কোটি টাকা পরিশোধ দেখান। ২০১১ সালে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জমি ক্রয়ের নামে কোম্পানির তহবিল থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত শুরু করে।
এ ঘটনায় তখন চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। দুদকের তৎকালিন উপ-পরিচালক আব্দুল আজিজ ভুইয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শুরু হলে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ আনে। স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হলেও দুদকের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী রহস্যজনক কারণে কমিশনকে অবহিত করেননি। ফলে কয়েকবছর স্থগিত থাকে তদন্ত কার্যক্রম।
গত ১৬ আগস্ট এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়। আইন শাখা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী স্থগিতাদেশের মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার তথ্যটি আসামিদের স্বার্থে গোপন রাখেন। এ ঘটনায় ওই আইনজীবীকে বাদ দিয়ে নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেয় দুদক।