ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : কর আয়যোগ্য সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষে একটি কৌশলপত্র প্রনয়ণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এই কৌশলপত্রের আলোকে রাজস্ব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এনবিআরের আয়কর, কাস্টমস্ ও ভ্যাট এই তিন বিভাগের সদস্যরা যৌথভাবে কৌশলপত্র চূড়ান্ত করবে। সোমবার এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মূলত ৫টি নির্দেশনাকে সামনে রেখে এই কৌশলপত্র প্রনয়ন করা হচ্ছে। এগুলো হলো-আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সকল দপ্তরসমূহের সাথে সমন্বয় রেখে মাঠপর্যায়ে কর রাজস্বের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি। মাঠ পর্যায়ের সকল রাজস্ব কর্মকর্তাদের পারফরমেন্সের মূল্যায়ন ও মাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রেরণ। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তালিকা প্রণয়ন ও এগুলোকে রাজস্ব-বান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য কৌশল প্রণয়ন। এছাড়া আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট কার্যক্রমকে গতিশীল করা। সে লক্ষ্যে ফেসবুক নিয়মিতভাবে সমৃদ্ধ (আপডেট) করা। বিশেষকরে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প, ট্যাক্স অনলাইন প্রকল্প এবং অ্যাসাইকুডা ওর্য়াল্ড সিস্টেম কার্যক্রমকে সফল করতে সর্বোতভাবে প্রয়াস চালানো। এ সকল বিষয় নিয়ে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের মহাপরিচালক এবং কমিশনারদের মধ্যে নিয়মিত মাসিক পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা। এতে এনবিআরের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, ‘চলতি অর্থ বছরের বাজেটে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পরিচালিত কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণপূর্বক রাজস্ব আদায়ের গতিশীলতা বজায় রাখা প্রয়োজন।এক্ষেত্রে যে সব বাধা বা প্রতিবন্ধকতা আসবে তা নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’ রাজস্ব সংগ্রহের কাজে অধিকতর সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে সরাসরি তাঁর পরামর্শ গ্রহণের জন্য তিনি সকল পর্যায়ের রাজস্ব কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।