নিজস্ব প্রতিবেদক: গত চার কার্যদিবস যাবত পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন চলছে। ধারাবাহিক পতনে পুঁজিবাজারে সব খাতের শেয়ারে দেখা দিয়েছে উপযুর্পরি পতন প্রবণতা। তবে বড় পতনের মধ্যেও আজ পুঁজিবাজারের গতিশীল দুই খাত ঘুরে দাঁড়িযেছে। খাত দুটি হলো-ইন্সুরেন্স খাত ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ (মঙ্গলবার) দিনের শুরুতে ইন্সুরেন্স খাতের শেয়ার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকে। দিনের মধ্যভাগে প্রায় সব জেনারেল ইন্সুরেন্সের শেয়ার বিক্রেতাশুন্য হয়ে হল্টেড হয়ে যায়। এদিন ইন্সুরেন্স খাতের ৪৮টি কোম্পানির মধ্যে ৪১টি বা ৮৫.৪২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে, ৫টি বা ১০.৪২ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে এবং ২টি বা ৪.১০ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল। তবে শতভাগ জেনারেল ইন্সুরেন্সের দরই বেড়েছে। এখাতে লেনদেনেও বড় উল্লম্ফনের দেখা মিলেছে।
অন্যদিকে, কয়েকটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অস্বাভাবিক দর বৃ্দ্ধি খতিয়ে দেখতে গত সপ্তাহে তদন্ত কমিটি গঠন এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে না--এমন একটি খবরে গত চারদিন ধরে খাতটিতে চলছে পতনের মাতম। আজও লেনদেনের শুরুতে বড় পতন দেখা যায় এখাতে। তবে দিনের মধ্যভাগে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত ঘুরে দাঁড়ায়। দিনশেষে এখাতের সার্বিক দৃশ্যপট পাল্টে যায়। বেলাশেষে এখাতের বেশিরভাগ ফান্ড সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হতে দেখা যায়। আজ খাতটির ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে ৩১টি ফান্ড বা ৮৩.৭৮ শতাংশ ফান্ডের দর বেড়েছে, ৩টি বা ৮.১১ শতাংশ ফান্ডের দর কমেছে এবং ৩টি বা ৮.১১ শতাংশ ফান্ডের দর অপরিবর্তিত ছিল।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি নাগাদ একটি জাতীয় দৈনিকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে মার্জিন ঋণ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কয়েকটি নির্দেশনার একটি বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটি প্রকাশের পর মিউচ্যুয়াল ফান্ডে মার্জিন ঋণ নিয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা সৃষ্টি হয়। অনেক ব্রোকারেজ হাউজ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি সোস্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক আলোচিত হয়। এর প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় যে, তালিকাভুক্ত সব মিউচ্যুয়াল ফান্ডে মার্জিন ঋণ চালু রয়েছে।