নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্ধ্যা নামলেই দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদে সাকরাইন উৎসবের বর্ণিল আলো। ফোটানো হয় পটকা-বাজি। নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে মুখর হয় পরিবেশ।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা তুষার আহমেদ বলেন, ছোটবেলা থেকে এই উৎসব করে আসছেন তারা। প্রতিবছর বন্ধুরা মিলে চাঁদা তুলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন সাকরাইন ঘুড়ি উৎসব।
তিনি জানান, সারা দিন ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন থাকে এই দিনে। এর পাশাপাশি ছাদে সাউন্ড বক্সে গান, ফানুস, আতশবাজি, পটকাসহ নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়।
আরেক বাসিন্দা নাজমুল হাসান বলেন, এই সাকরাইন উৎসব তাদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় উৎসব। এটি পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। তিনি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছেন, তার পূর্বপুরুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আয়োজন করছেন। এই উৎসবে কারও কোনো বাধা থাকে না। এর জন্য অনেকদিন আগে থেকে তারা প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।
ধোলাইখাল, গেন্ডারিয়া, মুগদা, দয়াগঞ্জ, নারিন্দা, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার, লক্ষ্মীবাজার, কলতাবাজার, শাখারী বাজার, রায়সাহেব বাজার, নবাবপুর, বংশাল, নাজিরা বাজার, তাঁতিবাজার, লালবাগ এলাকার মানুষ সাকরাইন ঘুড়ি উৎসবে ব্যস্ত থাকে সারা দিন।