নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্ব্বর) করোনার প্রভাবে মোট সরকারি ব্যয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৫৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বাজেট ২০২০-২১: প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন’ জাতীয় সংসদে উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের মোট আমদানি ব্যয় ছিল ৫৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮.৫৬ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আমদানি ব্যয় ১১.৪৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১২.৬৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। মূলত মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কিছুটা কম হওয়ায় ও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের প্রেক্ষাপটে আমদানি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। তবে সরকারের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আসায় অচিরেই আমদানি বিশেষত মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানিতে গতি ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রবাসী আয়ে ৪৮.৫৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী আয় বিগত অর্থবছরের একই সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছিল ১৬.৮১ শতাংশ। সরকার কর্তৃক ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান ও রেমিট্যান্স প্রেরণ প্রক্রিয়া সহজীকরণের কারণে প্রবাস আয় বিপুলভাবে বেড়েছে। আগামীতে এ খাতে প্রবৃদ্ধির চলমান ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১৭.৯১ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ১১.৪৪ শতাংশ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬.৪৭ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে মোট ব্যয় হয়েছে ৬২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা বা বাজেটের ১১.০৮ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ৫০ হাজার ২৭০ কোটি টাকা বা বাজেটের প্রায় ১৩.৮৫ শতাংশ। সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় মোট ব্যয় ৭.৫৭ শতাংশ কমেছে। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয় ২৬.২৬ শতাংশ ও পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ১.২৮ শতাংশ কমেছে।