নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ উপযোগী শেয়ার কিংবা বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার অ্যানালাইসিসের জন্য বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন নির্দেশক (Indicator) ব্যবহার করে থাকেন। এর মধ্যে প্রধানত হল-ট্যাকনিক্যাল ইনডিকেটর (Technical Indicator) ও ফান্ডমেন্টাল ইনডিকেটর (Fundamental Indecator)। টেকনিক্যাল ইনডিকেটরের মধ্যে Relative Strength index অথবা RSI (RSI) ইনডিকেটর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
RSI-এর মাধ্যমে খুব সহজেই বিনিয়োগ উপযোগী শেয়ার খুঁজে বের করা যায়। ঠিক তেমনি বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারও সনাক্ত করা যায়।
RSI-এর মাধমে বাজারের overbought ও oversold অবস্থান নির্দেশ করে। এর স্কেলমান শুন্য হতে ১০০ পর্যন্ত হয়। সাধারণত: ২০ এর নিচের শেয়ার oversold, ৮০ এর উপরে শেয়ার overbought নির্দেশ করে। সাধারণত, oversold অবস্থায় বড় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার buy (কেনা) এবং overbought অবস্থায় বড় বিনিয়োগকারীদের sell pressure (বিক্রির চাপ) নির্দেশ করে থাকে।
তবে অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও হয়। যদি কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে RSI অকার্যকর হয়ে পড়ে। মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের ভিত্তিতে শেয়ারের দর উঠা-নামা করে।
আবার যদি কোন শেয়ারের পেছনে বড় হাত থাকে বা স্মার্ট মানি থাকে, সেক্ষেত্রেও RSI সাধারণত অকার্যকর হয়ে যায়।
তবে সাধারণ নিয়মে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর যদি RSI-এর নিচের পর্যায়ে থাকে, তাহলে সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করা হয়।
আবার যেসব কোম্পানির শেয়ার দর RSI-এর উচ্চ পর্যায়ে থাকে, সেসব কোম্পানিতে আপাতত বিনিয়োগ না করে ওয়েট অ্যান্ড সি পলিসি অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে করে পুঁজি নিরাপদ থাকে।
তবে শেয়ার দর যখন বাড়তে বা কমতে থাকে RSI ইনডিকেটরের দরের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে পরিবর্তন হয়।
উল্লেখ্য, RSI ইনডিকেটর অনুযায়ি শেয়ার কেনা-বেচা করতে হবে, এমন কোন স্বত:সিদ্ধ নিয়ম বা বাধ্যবাধকতা নেই। তবে RSI ইনিডিকেটর অনুসরণ করলে সমূহ ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আমারস্টক-এর তথ্য অনুযায়ি, ৩ জুন, ২০২১ তারিখের ক্লোজিং দর অনুযায়ি বর্তমানে ১৭টি কোম্পানির RSI সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।
কোম্পানিগুলোর নাম, সর্বশেষ দর এবং RSI হিসাব নিচে তুলে দেয়া হল: