মো. হাবিবুর রহমান:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরিশোধিত মুলধন থেকে রিজার্ভ কেম ১৮ কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, বিবিএস কেবলস, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, দেশবন্ধু পলিমার, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, ইস্টার্ন কেবলস, গোল্ডেন সন, জিপিএইচ ইস্পাত, মুন্নু এগ্রো, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, এস আলম কোল্ড, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, এসএস স্টিল এবং ইয়াকিন পলিমার। এছাড়া এ খাতে পুঞ্জিভূত লোকসানের মধ্যে রয়েছে ৩টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আজিজ পাইপস, বিডি অটোকার্স এবং রেনউইক যজ্ঞেশ্বর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে মূলধনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ কম জিপিএইচ ইস্পাতের। এ কোম্পানির পরিশোধিত মুলধন ৩৯৭ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ১৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৬৬.০৭ শতাংশ বা ২৬২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা রিজার্ভ ।
অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং : আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের পরিশোধিত মুলধন ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৯৬.৪৫ শতাংশ রিজার্ভ।
অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স : অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সের পরিশোধিত মুলধন ৪০১ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ২৬৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৩৩.৮৬ শতাংশ রিজার্ভ।
বিডি বিল্ডিং সিস্টেমস : কোম্পানিটির পরিশোধিত মুলধন ১৬২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ৮০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৫০.৪৬ শতাংশ রিজার্ভ।
বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক : বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকের পরিশোধিত মুলধন ৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ৮৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৮.৪২ শতাংশ তুলনায় রিজার্ভ।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ : কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মুলধন ৬৩ কোটি টাকা এবং রিজার্ভ ৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৮৭.৬৩ শতাংশ রিজার্ভ।
দেশবন্ধু পলিমার : দেশবন্ধু পলিমারের পরিশোধিত মুলধন ৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৯৫.১৬ শতাংশ রিজার্ভ।
ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস : ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমসের পরিশোধিত মুলধন ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৫৮.১০ শতাংশ রিজার্ভ।
ইস্টার্ন কেবলস : ইস্টার্ণ কেবলসের পরিশোধিত মুলধন ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৪৮.৯৩ শতাংশ রিজার্ভ।
গোল্ডেন সন : গোল্ডেন সনের পরিশোধিত মুলধন ১৭১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ৬৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের তুলনায় ৬৩.০৯ শতাংশ রিজার্ভ।
মুন্নু এগ্রো : জিপিএইচ ইস্পাতের পরিশোধিত মুলধন ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ৮২ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৬৯.৯৮ শতাংশ রিজার্ভ।
নাহি অ্যালুমিনিয়াম : নাহি অ্যালুমিনিয়ামের পরিশোধিত মুলধন ৬৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ৪০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৪০.৯৫ শতাংশ রিজার্ভ।
অলিম্পিক এক্সেসরিজ : অলিম্পিক এক্সেসরিজের পরিশোধিত মুলধন ১৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকাএবং রিজার্ভ ৬৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৬০.৪১ শতাংশ রিজার্ভ।
ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড : ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের পরিশোধিত মুলধন ৬৭ কোটি ১ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ২২ কোটি ১ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৬৭.০৭ শতাংশ রিজার্ভ ।
এস আলম কোল্ড : এস আলম কোল্ডের পরিশোধিত মুলধন ৯৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৫৪.০৪ শতাংশ রিজার্ভ।
সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ : সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মুলধন ৫৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৭৭.৮৬ শতাংশ রিজার্ভ।
এসএস স্টিল : এসএস স্টিলের পরিশোধিত মুলধন ৩০৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ১৮৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৩৮.১১ শতাংশ রিজার্ভ।
ইয়াকিন পলিমার : ইয়াকিন পলিমারের পরিশোধিত মুলধন ৭৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং রিজার্ভ ১২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মুলধনের ৮২.৫৯ শতাংশ রিজার্ভ।
এদকে পুঞ্জিভূত লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসান আজিজ পাইপসের। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মুলধন ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং পুঞ্জিভূত লোকসান ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বিডি অটোকার্সের পরিশোধিত মুলধন ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং পুঞ্জিভূত লোকসান ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের পরিশোধিত মুলধন ২ কোটি টাকা এবং পুঞ্জিভূত লোকসান ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।