নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন পর দেশের শেয়ারবাজারে পালের হাওয়া বইছে। প্রতিদিন বাড়ছে বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ হাউজ ও স্টেক হোল্ডার। বাড়ছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিও। বড় লেনদেনেরও আভাস মিলছে। এক কথায় দেশের শেয়ারবাজার প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে।
শেয়ারবাজারের পরিধি সম্প্রসারণ হওয়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নানা অপরাধ-অনিয়মও। তবে সব অনিয়ম যে ইচ্ছাকৃত, সেটিও নয়। দ্রুত কাজ করতে গিয়েও অনেক সময় ভুল করে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।
তবে শেয়ারবাজারের সম্প্রসারণের প্রেক্ষিতে অপরাধ-অনিয়মসহ কারসাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য নিচ্ছে নানা ধরনের পদক্ষেপ।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ডিসেম্বর জুড়ে ৭৫টি ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সংস্থাটি। বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব ব্রোকারেজ হাউজকে সতর্ক করাসহ জরিমানা করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা জানায়।
এক তথ্যে দেখা যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ৭৫টি ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (টেক) হোল্ডারের বিরুদ্ধে আইন বহির্ভুত কাজে জড়িত থাকার অপরাধে এসব শাস্তিমূলকত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। শাস্তি পাওয়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে কনসোলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্টের অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিভিন্নগড় মিল খুঁজে পেয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি’র এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যে সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ম পালন করতে উদাসিন। বিএসইসি, ডিএসই ও সিডিবিএল এর যে সকল নিয়ম কানুন না মেনে নিজেদের মতো করে চলতে চায়।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের করপোরেট কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে বিএসইসি বদ্ধ পরিকর। আইন অমান্য করার কারণে বিএসইসি এরই মধ্যে বেশ কিছু ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আমাদের নিয়মিত কাজ। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আইন অমান্য করার কারণে শাস্তি স্বরুপ ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। কিন্তু অপরাধের তুলনায় এই জরিমানা নিতান্তই সামান্য। জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত বলে তারা মনে করেন।