নিজস্ব প্রতিবেদক : গেলো সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট। সূচকের এমন উত্থানেও সুককে টেনে নামানোর সর্বোচ্চ চেষ্টায় ছিলো চার কোম্পানি। এই চার কোম্পানির দায়ে গেলো সপ্তাহে ডিএসইর সূচক উত্থান বাধাগ্রস্থ হয়েছে ১৮ পয়েন্ট। যা উত্থানের ২০ শতাংশ। গেলো সপ্তাহে সূচককে টেনে নামানোর সর্বোচ্চ চেষ্টায় থাকা এই চার কোম্পানির মধ্যে রয়েছে লাফার্জহোলসিম, তিতাস গ্যাস, পাওয়ার গ্রীড এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ইবিএল সিকিউরিটিজ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গেলো সপ্তাহে সূচককে টেনে নামানোর সর্বোচ্চ চেষ্টায় ছিলো লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। গেলো সপ্তাহে সূচককে টেনে নামানোর চেষ্টায় কোম্পানিটির দায় ছিলো ৫.৯০ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির ক্লোজিং প্রাইস হয়েছে ৭৭ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের প্রথমে কোম্পানিটির ওপেনিং প্রাইস ছিলো ৮০ টাকা ৫০ পয়সায়।
ডিএসইর সূচক টেনে নামানোর চেষ্টায় দ্বিতীয় কোম্পানি ছিল তিতাস গ্যাস লিমিটেড। গেলো সপ্তাহে কোম্পানিটির সূচক টেনে নামানোর চেষ্টায় দায় ছিল ৫.৩০ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির ক্লোজিং প্রাইস হয়েছে ৪৪ টাকা ৪০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা। সপ্তাহের প্রথমে কোম্পানিটির ওপেনিং প্রাইস ছিলো ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা।
ডিএসইর সূচক টেনে নামানোর চেষ্টায় তৃতীয় কোম্পানি ছিল পাওয়ার গ্রীড লিমিটেড। গেলো সপ্তাহে কোম্পানিটির সূচক টেনে নামানোর চেষ্টায় দায় ছিল ৩.৬০ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির ক্লোজিং প্রাইস হয়েছে ৭০ টাকা ৫০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৪ টাকা ৯০ পয়সা। সপ্তাহের প্রথমে কোম্পানিটির ওপেনিং প্রাইস ছিলো ৭৫ টাকা ৪০ পয়সা।
ডিএসইর সূচক টেনে নামানোর চেষ্টায় চতুর্থ কোম্পানি ছিল রবি আজিয়াটা লিমিটেড। গেলো সপ্তাহে কোম্পানিটির সূচক টেনে নামানোর চেষ্টায় দায় ছিল ৩.৫০ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির ক্লোজিং প্রাইস হয়েছে ৩৯ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। সপ্তাহের প্রথমে কোম্পানিটির ওপেনিং প্রাইস ছিলো ৪০ টাকা ৮০ পয়সা।
সূচক টেনে নামানোর চেষ্টায় শীর্ষ উঠে আসা এই চার কোম্পানির দায়ে গেলো সপ্তাহে ডিএসইর সূচক উত্থান ঠেকেছে ১৮ পয়েন্ট। গেলো সপ্তাহে ডিএসইর মোট সূচক বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট।