নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিভিডেন্ড ও রিজার্ভের কলেবর বাড়ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মা খাতের ৯ কোম্পানির। প্রতিবছর কোম্পানিগুলো একদিকে বিনিয়োগকারীদের ভালো ডিভিডেন্ড দিচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিবছর কোম্পানিগুলোর রিজার্ভ বাড়ছে। এতে কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও আস্থা যেমন বাড়ছে, কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত্তিও শক্তিশালী হচ্ছে। কোম্পানিগুলো হলো- এসিআই ফরমুলেশন, বেক্সিমকো ফার্মা, ইবনে সিনা, কোহিনূর কেমিক্যাল, ম্যারিকো, রেকিট বেনকিজার, রেনাটা, ফার্মা এইড এবং স্কয়ার ফার্মা লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ফার্মা খাতের এই ১০ কোম্পানি ৩০ জুন ২০২১ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ থেকে ১৪০০ শতাংশ পর্যন্ত ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিগুলোর রিজার্ভ উঠেছে পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ২২ গুণ।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফার্মা এইড, রেকিট বেনকিজার ও কোহিনূর কেমিক্যাল স্বল্প মূলধনী কোম্পানি। যেগুলো মূলধন ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসসির চাপে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফার্মা এইডের মূলধন রয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, রেকিট বেনকিজারের ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং কোহিনূর কেমিক্যালের ২৫ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফার্মা এইডের রিজার্ভ রয়েছে ২২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা যা মূলধনের ৮.৩২ গুণ, রেকিট বেনকিজারের রিজার্ভ রয়েছে ৭২ কোটি লাখ ৭৮ টাকা যা মূলধনের ১৫.৪১ গুণ এবং কোহিনূর কেমিক্যালের রিজার্ভ রয়েছে ৮৯ কোটি ৫৬ লাখ যা মূলধনের ৩.৯১ গুণ।
এসিআই ফরমুলেশন: ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদেরে ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ বোনাস। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২০ শতাংশ ক্যাশ।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ০৬ পয়সা।
বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর রিজার্ভ রয়েছে ২০৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যা মূলধনের ৪.৩৪ গুণ।
বেক্সিমকো ফার্মা: ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৩৫ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২৫ শতাংশ। এরমধ্যে ১৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ বোনাস।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭ টাকা ৮৮ পয়সা।
বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর রিজার্ভ রয়েছে ২২৭১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যা মূলধনের ৫.০৯ গুণ।
ইবনে সিনা: ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৪৭ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৩৮.৫০ শতাংশ ক্যাশ।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৫ টাকা ৬৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১২ টাকা ৫৬ পয়সা।
বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর রিজার্ভ রয়েছে ১৮৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা মূলধনের ৫.৮৭ গুণ।
কোহিনূর কেমিক্যাল: ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদর ৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ১৫ শতাংশ বোনাস। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৪৫ শতাংশ। এরমধ্যে ৩৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ বোনাস।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৫৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭ টাকা ৫৭ পয়সা।
বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আর রিজার্ভ রয়েছে ৮৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যা মূলধনের ৩.৫০ গুণ।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৬ টাকা ১১ পয়সা।
বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর রিজার্ভ রয়েছে ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যা মূলধনের ৮.৩২ গুণ।
রেকিট বেনকিজার: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদেরে জন্য ১৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়ে ছিল ১২৫০ শতাংশ ক্যাশ।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৩১ টাকা ০৬ পয়সা।
বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আর রিজার্ভ রয়েছে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা মূলধনের ১৫.৪১ গুণ।
রেনাটা: ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৫৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরমধ্যে ১৪৫ শতাংশ ক্যাংম এবং ১০ শতাংশ বোনাস। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়ে ছিল ১৪০ শতাংশ। এরমধ্যে ১৩০ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ বোনাস।
সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২১ কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫১ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪১ টাকা ১৭ পয়সা।
বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১০৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আর রিজার্ভ রয়েছে ২৪৫৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা মূলধনের ২২.৯৩ গুণ।