ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
Sharenews24

বন্ড ইন্স্যুর মাধ্যমে তারল্য বাড়ালে ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার

২০২৩ আগস্ট ০৯ ২১:৩৮:০৩
বন্ড ইন্স্যুর মাধ্যমে তারল্য বাড়ালে ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারের টানা পতন থামানো জন্য দ্বিতীয় বারের মতো ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে এখন ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার। প্রতিদিনই বাড়ছে ফ্লোর প্রাইসে নামা কোম্পানির সংখ্যা। এতে করে যেমন কমছে সূচক, কমছে একইভাবে লেনদেনও। শেয়ারবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ার মূল কারণ তারল্য সংকট বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।

বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শেয়ারবাজার কিভাবে ভালো হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে তার‌ল্য সংকট রয়েছে। যার কারণে বেশিরভাগ কোম্পানি ফ্লোরে অবস্থান করলেও ক্রেতা মিলছে না। এখন শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে হবে। তারল্য বাড়লে ফ্লোর প্রাইস থেকে শেয়ারগুলো ওপরের দিকে মুভ করবে। আর শেয়ারদর ওপরের দিকে মুভ করলেই বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। আর লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে এবং শেয়ার দরে গতি ফিরলে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা তৈরী হবে।

ড. মিজানুর রহমান তারল্য বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে বলেন, আইসিবিসহ সরকারি ব্যাংকগুলোর বন্ড ছাড়তে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ড ছাড়লে, সেই বন্ড বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে ক্রয় করবে। পাশাপাশি বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এই বন্ড ক্রয় করবে। আর এই বন্ড বিক্রির অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে বাজারে তারল্য বৃদ্ধি পাবে।

আর এই তারল্য আইসিবিসহ সরকারি ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে বাজারকে সাপোর্ট দিলে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে। যেহেতু বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে। আর শেয়ারবাজারের এই খারাপ সময়ে কোন ভাবেই ফ্লোর প্রাইস তুলবে না বিএসইসি। তাই ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না শেয়ারদর। এই সুযোগটা যদি আইসিবিসহ সরকারি ব্যাংকগুলো এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে তাহলে এখান থেকে ভালো মুনাফা করা সম্ভব।

এই প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে বড় আঁকারে অংশগ্রহণ করলে বাজারে তারল্যের একটি প্রবাহ আসবে। এতে করে শেয়ারবাজার একটি ভালো অবস্থানে উঠলে শেয়ারগুলোর দর বেড়ে যাবে। এতে করে প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ধরে শেয়ার বিক্রি করে নিজেদের পুঁজি ঠিক রাখতে পারবে।

অন্যদিকে, আইসিবিসহ সরকারিব ব্যাংকগুলোর অংশগ্রহণে শেয়ারবাজার উধ্বমূখী হয়ে একটি ভালো অবস্থানে গেলে, বিএসইসির বেধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইসও তুলে দিতে সক্ষম হবে। আর সে সময়ে ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলেও তা শেয়ারবাজারে কোন প্রকার খারাপ প্রভাব পড়বে না বলে শনে করছে ড. মিজানুর রহমান।

আরও পড়ুন:যে উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াতে পারে শেয়ারবাজার

তিনি আরও বলেন, বর্তমান শেয়ারবাজারের খারাপ পরিস্থিতির কারণে অভিজ্ঞ অনেক বিনিয়োগকারীই শেয়ার বিক্রি করে সাইড লাইনে অবস্থান করছে। শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি একটু ভালোর দিকে গেলেই তারা আবারও বাজারে এন্ট্রি নিবে। যদি প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ড ছেড়ে বাজারে তারল্য বৃদ্ধির ঘোষণাও আসে, তাহলেও সেই সুযোগ সন্ধানী বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে এন্ট্রি নিতে শুরু করবে। যা শেয়ারবাজারের গতিই পাল্টে দিতে পারে।

শেয়ারনিউজ, ২৪ নভেম্বর ২০২২

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে