নিজস্ব প্রতিবেদক: পানির ওপর এক লাখ মানুষের শহর! তাও আধুনিক শহরের সব উপকরণ নিয়ে। ভাবা যায়!
শহরটি ভাসবে পানিতে। অবাক করার মতো বিষয় হলেও ইতোমধ্যে ভাসমান শহর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে এমন শহর নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু হঠাৎ এমন পরিকল্পনা কেন? যে কারো মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, ভূমি রেখে পানির ওপর শহর নির্মাণ কেন করা হচ্ছে। এর পেছনে যৌক্তিক কারণও রয়েছে।
বিশ্বে এখন চলছে ভূমির টানাটানি। মোট ভূমির পরিমাণ নির্দিষ্ট কিন্তু জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাড়তি এই জনসংখ্যার চাপতো সামলাতে হবে।
জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নানা সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে নানা জনপদ। তাই পানির ওপর শহর গড়লে, পরিবেশের ক্ষতিসাধনও হলো না, বসবাসের জন্য স্থান সঙ্কুলানও করা হলো।
পানির ওপর শহর নির্মাণের পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওশিয়ানিক্স’। ২০২৫ নাগাদ এ শহর বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে। এটি নির্মাণে খরচ হবে ২০০ মিলিয়ন ডলার। ১৫ দশমিক ৫ একরের মতো ক্ষেত্রফল হবে এই শহরের।
ভাসমান এই শহরে ভবনের উচ্চতা অবশ্যই কম রাখা হবে। কোনও ভাবেই সাত তলার থেকে বেশি উঁচু করে ভবন নির্মাণ করা হবে না। কারণ বেশি উঁচু ভবন হলে বাতাসের জন্য সমস্যা হতে পারে। অভিনব শহরটির সবই নির্মাণ করা হবে চুনাপাথর দিয়ে।
প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার মানুষ এই শহরে বাস করতে পারবেন। তবে ভবিষ্যতে এতে এক লাখ লোক বাস করতে পারবেন বলে পরিকল্পনায় রয়েছে।