নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এবছর কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর আগে ২০১১ সালে কোম্পানিটি একই পরিমাণ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
অন্যদিকে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরের আয়ও গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড ও সর্বোচ্চ মুনাফা ঘোষণা করার পরও আজ কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইতে পতনের শীর্ষ তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে। ভালো ডিভিডেন্ড ও ভালো মুনাফার খবরে শেয়ার দরে এমন বড় পতন-এটি শেয়ারবাজারের জন্য একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসাবে অভিহিত করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
তবে শেয়ারটির শীর্ষ দর পতনের শিরোপা মাথায় তোলার অন্য একটি কারণ ছিল। সেটি হলো-কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকে তুলনায় মুনাফা কম মুনাফা দেখিয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরের ডিভিডেন্ড ও মুনাফায় বড় উল্লম্ফন থাকলেও চলতি অর্থবছরের শুরুর প্রান্তিকের মুনাফায় পতন থাকায় শেয়ারটি উল্টোদিকে হেঁটেছে, এমনটাই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তবে বিনিয়োকারীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, যে কোম্পানির নিরীক্ষিত প্রতিবেদনে মুনাফার ভালো উল্লম্ফন দেখা গেল, সেই কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত মুনাফা এভাবে পতন থাকাটা কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারে না। এর পেছনে হয়তো অন্য কোন উদ্দেশ্য রয়েছে। কম দরে শেয়ার হাতিয়ে নেওয়ার মতলবও থাকতে পারে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগের দিন এশিয়া ইন্সুরেন্সের ক্লোজিং দর ছিল ৭২ টাকা ২০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির ক্লোজিং দর হয়েছে ৬৭ টাকা ৬০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির দর কমেছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ৬.৩৭ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি আজ শেয়ারবাজারে শীর্ষ পতনের কোম্পানির তিলক পরে নিয়েছে।
গত ৬ মাসের দর চিত্র:
কোম্পানিটির শেয়ারদর পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, গত বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে কোম্পানিটির দর ছিল ১৩০ টাকার উপরে। তারপর থেকে টানা পতন। আজকের দর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটি সর্বনিম্ন দর। অর্থাৎ ৬ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে শেয়ারটির দর প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে।
সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৫.৯৪ পয়েন্টে।