মো. হাবিবুর রহমান:শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে জানুয়ারি-মার্চ’২২ প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ১৭টি কোম্পানি। এর মধ্যে ৮টি কোম্পানির আয় বেড়েছে এবং ৯টি কোম্পানির আয় কমেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির। ৩টি কোম্পানি এখনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানুয়ারি-মার্চ’২২ প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ৮ কোম্পানির:
বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি (বিএটিবিসি): প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭ টাকা ১৭ পয়সা।
এপেক্স ফুডস: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৩ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা।
আরডি ফুড: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬০ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২০ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫১ পয়সা।
লাভেলো আইসক্রিম: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৬ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪৫ পয়সা।
গোল্ডেন হার্ভেস্ট: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২২ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় লোকসান ছিল ৮৫ পয়সা।
এএমসিএল প্রাণ: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫ টাকা ৯৬ পয়সা।
ফাইন ফুডস্: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে .০৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে লোকসান ২ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসন ছিল ১৮ পয়সা।
বীচ হ্যাচারী: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৭ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২৫ পয়সা।
শ্যামপুর সুগার: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৭ টাকা ৫৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২৮ টাকা ৪৮ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৭৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৭৭ টাকা ৭০ পয়সা।
ন্যাশনাল টি: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৯ টাকা ৭৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩৪ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ১২ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩১ টাকা ৯১ পয়সা।
জেমিনী সী ফুড: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে আয় দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬ টাকা ২৩ পয়সা।
অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ১২ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৭ টাকা ৯৬ পয়সা।
জিলবাংলা সুগার মিল: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৯ টাকা ৪৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১০ টাকা ২৭ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৪৯ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪৭ টাকা ৮ পয়সা।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫ টাকা ২৭ পয়সা।
রহিমা ফুড: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৬ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬ পয়সা।
বঙ্গজ: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা।
বিডি থাই ফুড: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ১৬ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে আয় দাঁড়িয়েছে ৫১ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪০ পয়সা।
এদিকে, মেঘনা পেটের ইপিএস অপরিবর্তিত রয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়েও শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৮ পয়সায়। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২০ পয়সা।
অপরদিকে, অর্থবছরেরজানু-মার্চ’২২ প্রান্তিকে এখনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি ৩টি কোম্পানি। এগুলো হলো- ইউনিভার কনজিউমার কেয়ার, এমারল্ড অয়েল ও ফু-ওয়াং ফুড।