নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভারতের পক্ষ থেকে গম রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে আগাম মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ভারত বেসরকারিভাবে রপ্তানি বন্ধ করলেও সরকারিভাবে গম রপ্তানি বন্ধ করেনি।
তিনি বলেন, এক মাস বা ১৫ দিন পর সেটি তারা তুলে দিবে। তাই আমাদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাদের উৎপাদিত গম তাদেরকে তো বিক্রি করতেই হবে।
আজ রোববার (১৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট সদর খাদ্যগুদাম (এলএসডি) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেট বিভাগীয় শহরে স্থাপন করা হবে আধুনিক ‘স্টিল রাইস সাইলো’। এই জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পাওয়া গেলেই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুরু হবে এর কাজ। সিলেটে ‘স্টিল রাইস সাইলো’ হলে ধানসহ ২৫ হাজার মেট্রিক টন খাদশষ্য মজুদ করে রাখা যাবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সুনামগঞ্জে সম্প্রতি বোরো ফসলের কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হলেও চাষাবাদ হয়েছে অনেক বেশি। এই থেকে আমাদের ধান-চালের শক্তিশালী একটি মজুদ গড়ে উঠবে। এছাড়াও গত আউশ ও আমন ধানেরও আমাদের প্রচুর মজুদ রয়েছে এবং সুবৃষ্টির কারণে আগামী আউশ ফসলও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই দেশে কোনোভাবেই খাদ্যসংকট তৈরি হবে না। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অবিরাম কাজ করছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত এক বছর থেকে আমরা বিদেশ থেকে কোনো চাল আমাদানি করিনি। আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মিটছে। তবে গম আমাদের দেশে হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গম আমদানি করা হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। কিন্তু এ দু দেশের যুদ্ধের পর আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছি। পরবর্তীতে যা দরকার তাও ভারত থেকে আমদানি করা হবে।
সরকার কর্তৃক কৃষকের ধানের সরকারি দামের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সাহয্য করে এবং তাদের কাছ থেকে ঘোষণা দিয়ে দাম নির্ধারণ করে ধান কেনে। কৃষকরা যাতে বাজারে অন্যের কাছে ধান বিক্রি করে না ঠকে তাই এমনটি করা হয়। এবার ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা আর বাড়ানো হবে না।
সিলেট সদর খাদ্যগুদাম পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম, সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ) মো. রায়হানুল কবীর, পরিচালক মো. জামাল হোসেন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সিলেট মো. মাইন উদ্দিন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নয়ন জ্যোতি চাকমা।