নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড প্রতি বছরই তাদের মূলধন বাড়ানোর তথ্য প্রকাশ করছে। কোম্পানিটির এমন দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। চিঠিতে কোম্পানিটির কাছে গত পাঁচ বছরের দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে।
প্রিমিয়ার সিমেন্টের উৎপাদন কারখানা মুন্সীগঞ্জের পশ্চিম মুক্তারপুরে অবস্থিত। এটি স্থানীয় এবং বিদেশী উভয় বাজারে পণ্য বিক্রি করে থাকে। ৩০ জুন ২০২১ এর আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটি ৯৫৫ কোটি টাকার মূলধনী কাজের অগ্রগতি দেখিয়েছে। যা আগের বছরে ছিল ৮২০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
বিএসইসির পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রতি বছরই কোম্পানিটির চলতি মূলধন ও কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সর্বাধিক অংশ ভিআরএম প্রকল্পে যায়। তবে কোম্পানিটি এটিকে স্থায়ী সম্পদে রূপান্তর করেনি।
কমিশন আরও উদ্বিগ্ন যে, ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানির স্বল্পমেয়াদী ব্যাংকের দায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বল্পমেয়াদী ব্যাংক ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১৭৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা এক বছর আগে ছিল ৯০৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
২০২২ সালের (জানুয়ারি-মার্চ) তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির রাজস্ব ১৭% বৃদ্ধি পেয়ে ৪২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামাল - ক্লিঙ্কার, জিপসাম, স্ল্যাগ, চুনাপাথর, ফ্লাই অ্যাশ - এর দাম বেড়ে যাওয়ায় এর নিট মুনাফা ৯১% কমে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকায় হয়েছে। কাঁচামালে দাম বাড়লেও কোম্পানিটির সিমেন্টের দাম সে হারে বাড়েনি।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১৪ পয়সা এবং ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি এর নেট সম্পদ মূল্য ছিল ৭৮ টাকা ২০ পয়সা।
গত বছরের ৩০ জুন কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ২০২২ সময় পর্যন্ত স্পনসর এবং পরিচালকদের কাছে ৪৭.১৫% শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০.২৬%, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.০৩% এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২.৫৬% শেয়ার রয়েছে।