নিজস্ব প্রতিবেদক: আফ্রিকায় ছড়ানো বিরল রোগ মাংকিপক্স ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংক্রমিত হচ্ছে। এই ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, পর্তুগাল, স্পেন, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, বিরল এই রোগের সর্বশেষ কেস ধরা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। কানাডায় মাংকিপক্সের ১৭টি কেসের ওই দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে।
এদিকে, পর্তুগালে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন এবং স্পেনে আরও ৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ব্রিটেনে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯ জন। অস্ট্রেলিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ জন।
খবরে বলা হয়, ব্রিটেনে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া ২ জন ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া সফর করেছেন। তারা সেখান থেকেই মাংকিপক্স ভাইরাসের জীবাণু বহন করে এনেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাংকিপক্স জাতীয় ভাইরাস বানর থেকে এই ছড়ায়। এই রোগ প্রথম ছড়ায় আফ্রিকায় ১৯৭০ সালে। তখন আফ্রিকার প্রায় ১০টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
মাংকিপক্স ভাইরাস বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অনেকটা জল বসন্তের ভাইরাসের মতো। এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে শরীরে গুটি, চুলকানি, জ্বর, মাথাব্যথা, হাড় এবং মাংসপেশিতে ব্যথা। এই গুটি প্রথমে মুখে দেখা যায় এরপর সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই গুটি থেকে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাংকিপক্সের ক্ষতিকারক প্রভাব কম। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ভাইরাসের তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। গুটি বসন্তের টিকাই এখন মাংকিপক্সের টিকা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৩ সালে প্রথম মাংকিপক্সের রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৮১টি কেস ধরা পড়েছে। ২০১৭ সালে নাইজেরিয়াতে মাংকিপক্সে ১৭২ জন আক্রান্ত হন।