নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যটির সরকারী প্রতিষ্ঠান আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে আগ্রহী।
বুধবার (২৫ মে) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারে’র কাছে কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের সেক্রেটারি সুনীত কেপি একটি আগ্রহপত্র পেশ করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সুনীত কেপিকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের ব্যান্ডউইথ রফতানির বিষয়ে কোনও সমস্যা নেই। এই ব্যাপারে আসামে ব্যান্ডউইথ রফতানির প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ব্যান্ডউইথ রপ্তানির অনুমোদন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সিলেটের তামাবিল থেকে মেঘালয়ের ডাউকি হয়ে গুয়াহাটিতে আসাম নিজস্ব ব্যয়ে ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করবে। এজন্য বাংলাদেশ তামাবিল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে বিকল্প লাইন স্থাপন করবে বলে মন্ত্রী প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩ হাজার ৪৪০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে নেটওয়ার্কের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে সৌদি আরব, ভারত ও ভুটানে ব্যান্ডউইথ রফতানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের কাজ শুরু করেছে। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত আরও প্রায় ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বাংলাদেশ থেকে ২০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করে। ১০ জিবিপিএস দিয়ে আমদানি শুরু করলেও সম্প্রতি তা বেড়ে ২০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।