নিজস্ব প্রতিবেদক: ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন জয়া আহসান ও ফয়সাল মাসুদ। কিন্তু তাদের এই ভালোবাসার বিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে নি। কেন টিকেনি তাই জানালেন জানালেন ফয়সাল।
জয়ার প্রথম স্বামী ছিলেন ফয়সাল মাসুদ। ভালোবেসে ফয়সালকে বিয়ে করেন জয়া। জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল ধনী ছিলেন। ফয়সাল ১৯৯৭ সালে জয়ার সাথে দেখা করেন।
জায়রার সঙ্গে ফয়সালের প্রথম দেখা হয় একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং -এ। শুরু হয়েছিল তিক্ততা দিয়ে। ফয়সাল সময়মতো আসতে পারেনি, মেকআপ করে জয়াকে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হয়েছে, জয়া রাগে কথা বলা বন্ধ করেন। এই রাগ আবার ভালোবাসায় রূপ নিতে সময় লাগেনি। ফোনে কথা বলার সাথে সাথে দুজনেই একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে। প্রেমে পড়ার পর জয়া ফয়সালকে বিয়ে করেন।
কেন তাদের ১৩ বছরের বিবাহ স্থায়ী হয়নি তা এখনও একটি রহস্য। বাড়িওয়ালা গৃহিণী হয়ে, ঘর সাজানো, তারা একে অপরের সাথে কতটা সংযুক্ত ছিল? তার কাছের মানুষ সব জানে। এত কথা বলার পরও কেন তাদের সেটেলড সংসার ভেঙে গেল? ফয়সালের কাছে গোপন সূত্র পাওয়া গেছে। যে কারণে সংসার ভেঙ্গে যায়, ফয়সাল নিজেই এর থেকে পর্দা তুলে নেন।
বিয়ের পরও জয়া ও ফয়সাল একসঙ্গে কাজ করছিলেন। জনপ্রিয় তারকা দম্পতিও হয়ে ওঠেন তারা। তারপর ছন্দ কমে। কোথাও কোথাও জয়ার জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। ফয়সাল একটু পিছনে ছিল। এই সাফল্য তাদের দাম্পত্য জীবনের ব্যর্থতার কারণ হতে পারে। তাদের মধ্যে একচেটিয়া আধিপত্য বাড়ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে দূরত্ব। চেষ্টা করেও ফয়জল ঠিক করতে পারেনি। ফলাফল বিবাহবিচ্ছেদ। ২০১১ সালে তারা আলাদা হয়ে যায়।
তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে জয়ার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জয়া আহসান বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। তার অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ, তিনি চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এবং তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছেন।
তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ব্যাচেলর। নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস লোবান অবলম্বনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত একটি গেরিলা চলচ্চিত্রে বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। পরে তিনি অনিমেষ আইচ পরিচালিত জিরো ডিগ্রি এবং অনম বিশ্বাস পরিচালিত দেবী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আরও দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন।