নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি শেয়ারবাজারে ডজন ডজন ক্রেতাশুন্য কোম্পানির জোয়ারে বিক্রেতাশুন্য কোম্পানির খবর চোখে পড়ছে না। তারপর ক্রেতাশুন্য ও বিক্রেতাশুন্য হওয়ার যে ফ্যারাক রয়েছে, সেটিও ক্রেতাশুন্য ও বিক্রেতাশুন্য ব্যবধান বাড়ানোর মূল কারণ। কারণ ক্রেতাশুন্য হয় দুই শতাংশ কম দরে। আর বিক্রেতাশুন্য হয় ১০ শতাংশ বেশি দরে। যে কারণে কোন কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাশুন্য করা যতোটা সহজ, বিক্রেতাশুন্য করা ততোটা সহজ নয়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেঘনা ইন্সুরেন্স বিক্রেতাশুন্যের তালিকায় রয়েছে। এর সঙ্গে কোনো কোনো দিন এক দুইটা কোম্পানি যোগ হয়। আবার কোনদিন হয়ও না। আজ তেমনি মেঘনা ইন্সুরেন্সের সঙ্গে আর এক কোম্পানি যুক্ত বিক্রেতাশুন্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। কোম্পানিটি হলো ইমাম বাটন। যদিও কোম্পানিটি কোন বিচারেই বিক্রেতাশুন্য হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। বাজার সংশ্লিষ্টরা জেড ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা বলছেন, তারপরওতো কোম্পানিটির শেয়ার এই সংকটের সময়ে বিক্রেতাশুন্য হয়েছে, এটাই বড় কথা।
আগেরদিন মঙ্গলবার ইমাম বাটনের ক্লোজিং দর ছিল ৯৭ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৯৭ টাকা ৬০ পয়সায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৬ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ১০ শতাংশ।
অন্যদিকে, আগেরদিন মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ক্লোজিং দর ছিল ২৫ টাকা ৬০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৮ টকা ১০ পয়সায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ টাকা ১০ পয়সায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৭৬ শতাংশ।