নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছিল ৩৮২টি কোম্পানির শেয়ার। এরমধ্যে দর বেড়েছিল ৬২টির, কমেছিল ২৮২টির। পরেরদিন সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৩৮০টি কোম্পানির শেয়ার। এরমধ্যে দর বেড়েছিল ৩৮টির, কমেছিল ৩২৫টির। গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৩৮২টি কোম্পানির শেয়ার। এরমধ্যে দর বেড়েছিল ৫৭টির, কমেছিল ২৮২টির। আজ বুধবার (২২ জুন) লেনদেন হয়েছে ৩৮২টি কোম্পানির শেয়ার। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১৯৩টির শেয়ার এবং দর কমেছে ১২৩টির শেয়ার।
অন্যদিকে, রোববার ডিএসইর সূচক কমেছিল ১৯ পয়েন্ট। সোমবার কমেছিল ৪৯ পয়েন্ট। গতকাল মঙ্গলবার কমেছে ৪৫ পয়েন্ট। আজ বুধবার লেনদেনের এক পর্যায়ে সূচক ২২ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। তারপর তার কভার করে উপরে উঠার উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে। লেনদেনের বেশিরভাগ সময়ই সূচক পজিটিভ মুডেই ছিল। দুপুর একটার দিকে সূচক ২০ পয়েন্টের বেশি ইতিবাচক হয়। তবে শেষ পর্যন্ত আজ সূচক ৬ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের চার দিনের বাজার তথ্য বিশ্লেষণ করে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে পতন প্রবণতা কেটে গেছে। প্রথম পর্যায়ে বাজেটে শেয়ারবাজার নিয়ে আশাব্যঞ্জক কোনো কিছু না থাকার কারণে কয়েকদিন ধারাবাহিক পতন হয়েছে। তারপর বন্যার খবরে নতুন করে কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে পতন হয়েছে। এখন বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। শোনা যাচ্ছে, বাজেটে শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগসহ নতুন কিছু প্রস্তাব অনুমোদন হতে পারে। সুতরাং বাজার নতুন করে পড়ার আর কোনো নতুন অনুষঙ্গ নেই। বরং এবার সামনে অগ্রসর হওয়ার পালা। তবে বাজারে যেহেতু তারল্য প্রবাহের সরবরাহ এই মূহুর্তে খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়, সেহেতু বাজার এখনই হয়তো বড় আকারে বাড়বে না। তবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে থেকে বাজারে বড় আকারে অগ্রগতি দেখা যেতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
বুধবারের বাজার চিত্র:
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ (বুধবার) ৬.১৪ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩১৭.৮০ পয়েন্টে।
ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৫৬ পয়েন্ট বা ০.১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৮১.৪৭ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ১.৪৬ পয়েন্ট বা ০.০৬ শতাংশ কমেছে।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে আজ লেনদেন হয়েছে ৬৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩১ কোটি ৫১ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৭২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার।
ডিএসইতে ৩৮২ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৩ টির বা ৫০.৫২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১২৩ টির বা ৩২.২০ শতাংশের এবং ৬৬ টির বা ১৭.২৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১১.৪৭ পয়েন্ট বা ০.০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬০২.৫২ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৭ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১২ টির, কমেছে ১২২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩ টির দর। আজ সিএসইতে ৩৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।