নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে অল্প অল্প করে হলেও শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ছে। গত তিন কার্যদিবস ধরে সূচক বেড়েছে। লেনদেনও তলানি থেকে দুই দিনের উত্থান ধরে রেখেছে।
এর আগে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের দিন থেকে শেয়ারবাজারে সূচক নিম্নগামী হয়। তারপর শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের খবরে বাজার ফের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় প্রবাহিত হয়। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা অবনতির খবরে বাজার ফের নিম্নগামী হয়। চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে বাজার ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজও বাজার ইতিবাচক থাকে। বাজেট প্রস্তাবের পর থেকে ঝিমুতে থাকা শেয়ারবাজারে বাজেট পাসের আগে আগে কিছুটা হলেও প্রাণ ফেরার চিত্র দেখা যাচ্ছে।
আজ বুধবার প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল। লেনদেনের ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশই হয়েছে এই দুই খাতে। আগের দিনও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল বস্ত্র খাতে।
বেশ কিছুদিন পর ব্যাংক খাতে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতও বেশ ভালো করেছে। প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতেও বেশির ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে।
তবে বিমা খাতের শেয়ারে গতকালের মতো আজও বড় পতন হয়েছে। গত তিন সপ্তাহ যাবত খাতটির শেয়ারে চলছে পতনের মাতম। চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার বিমা খাতের শেয়ারে ছিল টান টান উত্থান। এদিন বিমা খাতের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারই ছিল ক্রেতাশুন্য। কিন্তু পরের দিন মঙ্গলবার খাতটিতে ফের ফ্যাকাশে চিত্র দেখা যায়। আজও একই অবস্থা। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ছিল ক্রেতাশুন্য।
বুধবারের বাজার চিত্র:
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ ৭.৮৭ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫০.৪৬ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৯৫.১৮ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ সূচক ০.২৪ পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৮৫.৪০ পয়েন্টে।
টাকার পরিমাণে ডিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৮১৮ কোটি ৮২ লাখ টাকার।
ডিএসইতে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৭টির বা ৪১.২১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৭২টির বা ৪৫.১৪ শতাংশের এবং ৫২টির বা ১৬.৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৬.৮৩ পয়েন্ট বা ০.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৯০.৪৯ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দর। আজ সিএসইতে ২০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।