নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও শোষিত-বঞ্চিত মানুষদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই লক্ষ্য হলো, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। যেন একটা মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলতে পারি। অনেক বাধা এসেছে, কিন্তু আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘাতকরা গণতন্ত্র হত্যা করে মার্শাল ল জারি করেছিল। আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। পরে জনগণের সাড়া পেয়ে দেশে আসি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা ইনডেমনিটি অ্যাক্ট জারি করে সেই বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমেরিকা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে; তার প্রভাবে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, সারের দাম বেড়ে যাচ্ছে, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। সে প্রভাব সারাবিশ্বের উপর পড়েছে, বাংলাদেশের উপরও পড়েছে। সেগুলো মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ও যুদ্ধ না হলে আমরা হয়ত আরও এগিয়ে যেতে পারতাম।
এসময় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন।