নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ-উল-আযহার বন্ধের পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস দরবৃদ্ধির দৌড়ে বস্ত্র খাত এগিয়ে ছিল। দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে ৭টি টেক্সটাইল খাতের শেয়ার উঠে আসে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বস্ত্র খাতে ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৪৬টির বা ৭৭.৯৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ৯টির বা ১৬.৯৫ শতাংশ কোম্পানির দর পতন হয়েছে। দর অপরিবর্তিত ছিল ৩টির বা ৫.০৮ শতাংশ কোম্পানির। সবচেয় বেশি দর বেড়েছে নূরানী ডায়িংয়ের ৯.৫৮ শতাংশ, জাহিন টেক্সের ৭.৬৯ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের ৭.৬২ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ৬.৬৬ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৬.২৫ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ৬.১৮ শতাংশ এবং এমএল ডায়িংয়ের ৫.৭৬ শতাংশ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঈদের আগে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪.৪১ শতাংশ ছিল বস্ত্র খাতের দখলে। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৭৭ কোটি ৬২ লাখ ২৭ হাজার টাকার। এর মধ্যে শুধুমাত্র বস্ত্র খাতে ১৫৯ কোটি ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪.৬১ শতাংশ। দুই দিনের ব্যবধানে লেনদেন বস্ত্র খাতে লেনদেনে বেড়েছে ১০.২০ শতাংশ।
এছাড়া, ডিভিডেন্ড মৌসুম ঘনিয়ে আসায় বস্ত্র খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বস্ত্র খাতের দিকে ঝুঁকছেন কীনা তা দেখার জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ অতীতে দেখা গেছে যে বস্ত্র খাতের শেয়ার একদিন বাড়লে ৩দিন পতন হয়েছে।
আশার কথা হচ্ছে, অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দেশের রপ্তানিকারকরা।
তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এই বিষয়ে বলেন, ‘করোনা মহামারি, যুদ্ধসহ নানা সংকটের মধ্যেও গত অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্যে অবাক করার মতো সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৮২ শতাংশই এসেছে আমাদের তৈরি পোশাক থেকে। আশা করছি, আগামী দিনগুলোতেও এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে।’
করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের সংকট ইত্যাদি সত্ত্বেও বাংলাদেশের বস্ত্রখাত ভালো করায় বিনিয়োগকারীরা এদিকে ঝুঁকছেন বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।