নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের শুরু থেকেই চলছে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সেই পতনকে আরও ঘনীভূত করেছে। প্রতিদিনই অস্বাভাবিক পতনের সম্মুখীন হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ধারাবাহিক এই পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) শেয়ারবাজারে ফের ফ্লোর প্রাইস বা দর পতনের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দিয়েছে। যা আগামী ৩১ জুলাই, ২০২২ রোববার থেকে কার্যকর হবে।
ফ্লোর প্রাইস নিয়ে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারসহ বিগত ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দর হবে সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস। ফ্লোর প্রাইসের নিচে কোনো সিকিউরেজের দর নামতে পারবে না।
নির্দেশনায় বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দরের সঙ্গে সমন্বয় হবে।
আর নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা অনুযায়ী, সর্বশেষ ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দরের নিচে কোনো সিকিউরিটিজের দর হবে না। অর্থাৎ ৫ দিনের যে গড় দর হবে, সেই গড় দরের নিচে কোনো সিকিউরিটিজ লেনদেন হবে না।
যেমন ধরা যাক, একটি সিকিউরিটিজের ৫ দিনের গড় দর হয়েছে ১৬ টাকা ০৪ পয়সা। নির্দেশনা অনুযায়ী, সেই সিকিউরিটিজটির দর ১৬ টাকা ০৪ পয়সার নিচে লেনদেন হবে না। তাহলে সিকিউরিটিজটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারিত হবে ১৬ টাকা ১০ পয়সায়।
এর আগে ২০২০ সালে ১৯ মার্চ যখন প্রথম শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস চালু করা হয়, তখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এই নিয়মেই ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করেছিল।
২০২০ সালের ডিএসই’র ফ্লোর প্রাইস গনণার কৌশল মাথায় নিয়ে এবং বিএসইসি’র নির্দেশনা বিশ্লেষণ করে শেয়ারনিউজ লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ আব্দুল কাদের (নাবিল) এর সহযোগিতায় তালিকাভুক্ত ৪০৩টি সিকিউরিটিজের সম্ভাব্য ফ্লোর প্রাইস নির্ণয় করেছে।